রামপুরহাটে তোলা নিজস্ব চিত্র।
তারাপীঠ শ্মশান-সহ সানঘাটাপাড়া শ্মশানের জায়গা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল ব্যক্তিগত মালিকানায় পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল রামপুরহাট ১ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের বিরুদ্ধে। সোমবার ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে কংগ্রস বিক্ষোভ দেখায়। দলের রামপুরহাট ১ ব্লক সভাপতি উত্তীয় মুখোপাধ্যায় অভিযোগ, “ওই ভূমি সংস্কার অফিসে নানান রকম ভাবে জায়গা জমির দলিল জাল করার চক্র কাজ করছে। রামপুরহাট এলাকায় শ্রীফলা মৌজায় রাস্তার ধারে তিন বিঘা জমি জাল দলিলের মাধ্যমে এক জনকে পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে একাধিকবার বি এল অ্যান্ড এল আরওকে জানানো হয়েছে। তার পরেও উনি নিজের প্রভাব খাটিয়ে দুর্নীতি করে চলেছেন।” তাঁর দাবি, জেলা রেজিস্টার অফিস থেকে জাল দলিলের প্রমাণও মিলেছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তারাপীঠ শ্মশানের ৪ শতক জায়গা দু’বছর আগে বি এল অ্যান্ড এল আরও অফিসের মাধ্যমে একটি সংস্থাকে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। রামপুরহাট সানঘাটা পাড়া শ্মশানের জায়গা একজন ব্যক্তিগত মালিকানায় পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। রামপুরহাট থেকে তারাপীঠ রাস্তায় একটি বেসরকারি হোটেল দীর্ঘদিন থেকে সরকারি জায়গা দখল করে আছে, অথচ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ জেলা আইএনটিইউসির জেলা সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ মনির। রামপুরহাট শহর ফুটপাত ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা সাহাজাদা কিনু বলেন, “রামপুরহাট শহরে পুকুর বুজিয়ে বহুতল বাড়ি গড়ে উঠছে। সেক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট দফতর কি ভূমিকা নিয়েছে?” রামপুরহাট শহর কংগ্রেসের সভাপতি সুদেব দাস বলেন, “বি এল অ্যান্ড এল আরও অফিসে যে দুর্নীতি চলছে তা যদি বন্ধ না হয়, তা হলে আগামী দিনে কংগ্রেস কর্মীরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।” এ দিন রামপুরহাট ১ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক মহম্মদ মনিরুদ্দিন অফিসে ছিলেন না। তাঁর পরিবর্তে কংগ্রেসের দেওয়া স্মারকলিপি গ্রহন করেন রেভিনিউ ইন্সপেক্টর মানস গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের দাবিগুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হবে। তা ছাড়া কর্মীর অভাবে অনেক কাজ দেরিতে হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy