শতাব্দী রায়ের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভায় গিয়ে বিরোধীদের এক হাত নিলেন মুকুল রায়। বুধবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিরোধীরা নানা ভাবে এককাট্টা হয়ে ভোট কাটা কাটির খেলা খেলছে। তারা বীরভূমে সন্ত্রাস চলছে বলে অভিযোগ করছে। কিন্তু এই জেলার নানা ঘটনা তার সাক্ষী। ২০০০ সালে নানুরের ঘটনা ভুলিনি, যে সিপিএম রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে কী করেছিল।”
তারাপীঠের চিলার মাঠে এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, মিঠুন চক্রবর্তী, মেয়ে শামিয়ানাকে নিয়ে বীরভূম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়-সহ আরও অনেকে। রাজ্য সরকার ও বিরোধীদের বিষয়ে বক্তব্য রাখার পরে মুকুল রায় বলেন, “এ বার আপনারা মিঠুনের কাছ থেকে কিছু শুনে নিন।” কার্যত এ দিন মিঠুনকে দেখতে এবং তাঁর মুখে ডায়লগ শুনতে সভাস্থলে বেশিরভাগ মানুষ প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে সভাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। মুকুলবাবু সেটা বুঝতে পেরে মিঠুনের হাতে মাইক্রোফোন ধরিয়ে দেন। আর তার পরেই মিঠুন তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বলে ওঠেন, “চুপ না করলে ডায়লগ বলব না।” এর পরেই তিনি বলেন, “নাম তুফান। বছরে দু-একবার আসে। আর যখন আসে তখন প্রলয় ঘটে।” সেই সময় এক চিত্র সাংবাদিক মঞ্চে উঠে ছবি তুলতে গেলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “স্যার আপনার জন্য দর্শকদের অসুবিধা হচ্ছে। আপনি সরে না গেলে আপনাকেও তুফান করে দেব।” এ সব শুনে হই হই করে ওঠেন উপস্থিত লোকজন। এই সময় দর্শকদের জায়গা থেকে এক জনকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাকে চশমা খুলে দেখতে চাই।’ মজা করে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “যখন পয়সা দিয়ে সিনেমা দেখতে আসিস, তখন কিছু বলিস না। এখানে বিনা পয়সায় দেখতে এসেছিস বলে, এত চিৎকার।” পরে অবশ্য তিনি চশমা খুলে ফেলেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টার মধ্যে সভা শেষ হয়ে যায়। সভা শেষে সাংবাদিকদের মুকুল রায় বলেন, “আমরা ৪২-০ আসনে জিতব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy