Advertisement
০৫ মে ২০২৪

ভাংলার সেতু নির্মাণে বাধা খুঁটি

ভাংলা কাঁদরের উপর সেতু নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদ টাকা বরাদ্দ করলেও, সেই নির্মাণের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি বৈদ্যুতিন খুঁটি। কাজ থমকে যাওয়ায় নতুন করে চিন্তায় পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।

কবে মিলবে এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি?—ফাইল চিত্র।

কবে মিলবে এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি?—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৫৪
Share: Save:

ভাংলা কাঁদরের উপর সেতু নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদ টাকা বরাদ্দ করলেও, সেই নির্মাণের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি বৈদ্যুতিন খুঁটি। কাজ থমকে যাওয়ায় নতুন করে চিন্তায় পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।

ঘটনা হল, গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা ওই প্রকল্পে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। চার মাস আগে প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করে কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়। ৭৫ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা তাঁদের সরঞ্জাম নিয়ে তৈরি। শ্রমিকদের থাকার অস্থায়ী ছাউনিও তৈরি হয়ে গিয়েছে। এমন কী সেতুটি তৈরির জন্য যেখানে যেখানে পিলার বসানো হবে সেই সমস্ত জায়গার জরিপও হয়ে গিয়েছে। এত কিছু হয়ে যাওয়ার পরও এখনও সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা যায়নি। কারণ, সেতুটি নির্মাণের জন্য গর্ত করার জন্য যন্ত্র সেতু নির্মাণের জায়গায় পৌঁছানোর জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি ইলেকট্রিক খুঁটি।

মাড়গ্রাম থানার দুনিগ্রামের ভিতর সেই ইলেকট্রিক খুঁটিটি রয়েছে। দুনিগ্রাম পেরিয়ে ভাংলা কাঁদরে পৌঁছাতে হবে। এ দিকে ভাংলা কাঁদরের উপর সেতুর দাবিতে আন্দোলনকারী মাড়গ্রাম থানার জয়চন্দ্রপুর গ্রামের বিনোদ কুমার মণ্ডল, গোপালপুর গ্রামের হলধর মণ্ডল, বাবলাডাঙ্গা গ্রামের পিন্টু সেখরা জানান, দীর্ঘদিনের লড়াই আন্দোলনের ফলে ভাংলা কাঁদরের উপর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। এখন কেবলমাত্র দুনিগ্রামের ভিতর দিয়ে যাওয়া একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি না সরালে ভারী যন্ত্র বা সেতু নির্মাণের জন্য ইঁট বালি, সিমেন্টের ট্রাক আসা-যাওয়া মুশকিল। তাঁদের দাবি, অতিরিক্ত জেলাশাসক বিদ্যুত্‌ দফতরকে লিখিত ভাবে জানালেও এখনও সেই খুঁটি সরানো হয়নি।

অতিরিক্ত জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, “খুঁটিটি সরানোর জন্য বিদ্যুত্‌ দফতরকে লিখিত জানান হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে তা করে দেওয়ার কথা।” রাজ্য বিদ্যুত্‌ বন্টন কোম্পানির রামপুরহাট মহকুমা বিভাগীয় বাস্তুকার অসিত কুমার শ্যামল বলেন, “সংশ্লিষ্ট গ্রুফ সাপ্লাই দফতরকে সার্ভে করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”

পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুত্‌ বণ্টন নিগমের মাড়গ্রাম গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের সহকারী বাস্তুকার শিশুনাথ দাস বলেন, “খুঁটিটি সরানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার এ ব্যপারে দফতরের জোনাল ম্যানেজার, এবং রিজিওন্যাল ম্যানেজারদের অনুমতি নেওয়া হবে। তারপরে ব্যবস্থা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE