ঘটনাস্থলে তদন্তে পুলিশ।—নিজস্ব চিত্র।
বাড়ির অদূরে মিলল এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ। রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে সদাইপুর থানার যাত্রা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শেখ মিরাজুল (২২)।
শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। রাতে বাড়ি না ফিরলেও খোঁজ খবর করেননি পরিবারের লোকজন। মিরাজুলের বাবা শেখ রেজাউল ও ভাই আশরাফুল বাড়িতে ছিলেন না। ভোরের দিকে তাঁরা বাড়ি ফিরে গ্রামের লোকজনের কাছ থেকে মিরাজুলের মৃত্যুর খবর পান। বাবা রেজাউল বলেন, “তখন সকাল ৬টা হবে। গ্রামের লোকেরা খবর দিল হাটুই পুকুরের কাছে মাঠে উপুড় হয়ে পড়ে আছে ছেলের দেহ। খবর পেয়ে ছুটে যাই। তার পরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।” এ দিন সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখা যায়, দেহ ঘিরে প্রচুর ভিড়। ওই যুবকের নাক ফেটে রক্ত গড়াচ্ছে। মাথায় ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন। এই খুনের ঘটনার তদন্তের জন্য এলাকার বাসিন্দারা পুলিশ কুকুর আনার দাবি করেন। ঘটনার কিনারা না হওয়া পর্যন্ত দেহ ছাড়া হবে না বলেও জানান বাসিন্দারা। পরে পুলিশ পুকুর এলেও খুনের কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। তাতে আরও ক্ষোভ বেড়ে যায়। শেষমেষ পুলিশের আশ্বাসে বাসিন্দারা শান্ত হন। দেহ তুলে ময়নাতদন্তে পাঠানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ।
নিহতের মা অঞ্জুমা বিবি বলেন, “সন্ধ্যার সময় কাছেই যাত্রা লাইব্রেরিতে আড্ডা মারতে গিয়েছিল ছেলে। তারপর রাত ১২টা নাগাদ একটা ফোন পাই। ফোনে চিৎকার হচ্ছিল। পরে ফোন কেটে যায়। সকালে যে এমন খবর পাব সেটা ভাবিনি।” পুলিশ জানায়, নিহতের পকেটে নেশা দ্রব্য ও মোবাইল ফোন ছিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই যুবককে কে বার খুন করেছে। দেহের পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে কয়েকজনের পায়ের ছাপও রয়েছে। মোবাইল ফোনের কল লিস্ট দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে নিহতের পরিবারের তরফ থেকে রবিবার রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “খুনের তদন্ত শুরু হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy