Advertisement
E-Paper

রাস্তার আলো জ্বলে না, শহরে বাড়ছে চুরি ছিনতাই

পথ বাতি খারাপ হয়ে গিয়েছে। সন্ধ্যা নামতেই ঘোর অন্ধকারে মুখ ঢাকছে মহকুমা শহর রামপুরহাটের বেশ কিছু এলাকা। আর সেই আঁধারেই চুরি-ছিনতাই বাড়ছে শহরে। পনের দিনেও ওই বিশেষ এলাকায় বাতি ফেরেনি বলে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও সরব তাঁরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৪ ০০:৫২

পথ বাতি খারাপ হয়ে গিয়েছে। সন্ধ্যা নামতেই ঘোর অন্ধকারে মুখ ঢাকছে মহকুমা শহর রামপুরহাটের বেশ কিছু এলাকা। আর সেই আঁধারেই চুরি-ছিনতাই বাড়ছে শহরে। পনের দিনেও ওই বিশেষ এলাকায় বাতি ফেরেনি বলে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও সরব তাঁরা।

সন্ধ্যা নামতেই রামপুরহাটের কয়েকটি এলাকায় ছিনতাই বাজের দল হানা দিচ্ছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। তাঁদের অভিযোগ, ওই সব এলাকায় মহিলাদের গলার হার ছিনতাই বাড়ছে রামপুরহাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সি পি এম কাউন্সিলর সঞ্জীব মল্লিক জানান, ওয়ার্ডের সুকান্ত পল্লীর ভিতরে বেশ কিছু পথ বাতি ভোটের পর থেকে খারাপ হয়ে আছে। পুরসভার ঠিকাদারকে ঠিক করার জন্য বলা হয়েছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত মেরামত করা যায়নি। এর সুযোগ নিয়ে এলাকার ছিন্তাইবাজ রা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। চুরি ছিনতাই বাড়লেও পুলিশের ভূমিকা ঠিক নয়।

শুধু ১৭ নম্বর ওয়ার্ড নয়, ১৪ নম্বর, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পথ বাতি খারাপ হয়ে যাওয়ার কম দামী বাল্ব লাগানো হচ্ছে। এর ফলে স্বল্প আলোতে রাস্তা চলা দায় হয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু পথ বাতি দীর্ঘ দিন থেকে লাগানো হচ্ছে না। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আশিস দাসের অভিযোগ, সন্ধ্যা নামলে আউটডোর পাড়া দিয়ে স্বল্প আলোতে রাস্তা দিয়ে যাওয়া যায় না। এই ওয়ার্ডেই বাড়ি পৌর এলাকার পথ বাতির মেরামত করার দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদার সুব্রত মণ্ডলের। সুব্রত মণ্ডল আবার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পুস্পিতা মণ্ডলের স্বামী। সুব্রত মণ্ডলের দাবি, “আমাকে এখনও পর্যন্ত অভিযোগ জানায় নি। তবে ধান কাটার মরশুম চলার জন্য লেবার পাওয়া যাচ্ছিল না। দিন কয়েক আগে বৃষ্টি হওয়ার জন্য বেশ কিছু লাইট খারাপ হয়েছে ঠিক ই কিন্তু সেই সমস্ত এলাকায় যেমন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড , ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আউটডোর পাড়ার নতুন করে আলো লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।” অন্যদিকে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুকান্ত সরকারের দাবি, পথবাতি খারাপ থাকার জন্য চুরি ছিনতাই হচ্ছে তা ঠিক নয়। তাহলে দিনের বেলায় ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে , ১১ নম্বর ওয়ার্ডে চুরি হচ্ছে কেন। কেনই বা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে এম পি অফিসে দুবার চুরি হয়। তাঁর অভিযোগ, ‘‘যেখানে মদ খাওয়ার টাকা না দেওয়ার জন্য রামপুরহাট কলেজের ভিতর ঢুকে জি এস কে বহিরাগত ছাত্ররা মারধর করে চলে যায়, পুলিশ কে বলা হলেও কোনও ব্যবস্থা নেয় না, সেখানে রামপুরহাটে পুলিশের প্রতি মানুষ ভরসা করতে পারবে কি করে।” অন্যদিকে রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কোটেশ্বর রাও বলেন, “পুলিশকে সঠিক ভাবে অভিযোগ জানান হলে অবশ্যই পুলিশ কাজ করে।” শহরে চুরি ছিনতাই রোধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

increase theft rampurhat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy