ভুবনমোহিনী: বাগবাজার সর্বজনীনের প্রতিমা। ছবি: সুমন বল্লভ।
দুর্গাবাহিনী দিন কয়েক ব্যাটিং করবে বুঝেই কি আপাতত হাল ছেড়ে দিয়ে খানিক ঘুমোতে গেল বর্ষা!
মেঘের হানা চলতে থাকায় অবশ্য তেমনটা প্রত্যয় হচ্ছে না। বিশ্বাস হচ্ছে না বলেই বোধনের বিকেলে আকাশ মুখ ভার করায় পুজো উদ্যোক্তাদের কপালে ভাঁজ। পুজোটা কি ভাসিয়েই দেবে বৃষ্টি? হাওয়া অফিস পুরোপুরি হতাশ করছে না আবার সংশয়ও কাটাচ্ছে না। তারা জানাচ্ছে, বর্ষা অনেকটাই ব্যাকফুটে। আজ, বুধবার সপ্তমী পর্যন্ত বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। কিন্তু কাল, বৃহস্পতিবার অষ্টমী থেকে হাল্কা ও মাঝারি বৃষ্টির আশঙ্কা থাকছেই। তবে উৎসব মাটি করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি হবে না বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা।
বিকেলে মেঘ দেখে আলিপুর আবহাওয়া দফতরকে ফোনে ধরলেন ঢাকুরিয়ার একটি পুজোর এক উদ্যোক্তা। তাঁদের মণ্ডপে যেখানে প্রতিমা রয়েছে, প্রচুর বৃষ্টি হলেও সেখানে ক্ষতির আশঙ্কা নেই। কিন্তু দর্শকদের ভিজতে হবে। এ বার পুজো বর্ষার সময়সীমার মধ্যেই। তা হলে খোলা মণ্ডপ কেন? উদ্যোক্তা বলেন, ‘‘এই মণ্ডপের টাকা জোগাড় করতেই দম বেরিয়ে গিয়েছে। মাথায় চালা করতে হলে শেষ হয়ে যেতাম।’’
আরও পড়ুন:দল ভাঙবে না, আশায় তৃণমূল
তবে হাওয়া অফিসের বার্তা পেয়ে উদ্যোক্তারা কিছুটা আশ্বস্ত। কেন্দ্রীয় আবহবিজ্ঞান মন্ত্রকের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সপ্তমীতে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। অষ্টমী থেকে দশমী হাল্কা ও মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেই বৃষ্টি জোরালো হবে না। বৃষ্টি না-হলেও জ্বালাবে ভ্যাপসা গরম। সঞ্জীববাবু জানান, এই সময়টায় দুপুর পর্যন্ত আকাশ পরিষ্কার থাকে। প্রখর রোদে গরম হয়ে ওঠে মাটি। তার উপরে বাতাসে বাড়তি জলীয় বাষ্প থাকায় ভ্যাপসা ভাব তৈরি হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy