বর্ষা এখনও মূল ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকেনি। কিন্তু তার আগেই বাংলার আকাশে যেন বর্ষার আগমন-বার্তা। সৌজন্য: বিহার ও উত্তরবঙ্গের একাংশের উপরে থাকা একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্পের অফুরন্ত জোগান। তার জেরেই সোমবার সকাল থেকে মেঘে ঢাকা ছিল আকাশ। দফায় দফায় বৃষ্টিও হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ, মঙ্গলবারেও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। উত্তরবঙ্গে এমন পরিস্থিতি চলবে দিন পাঁচেক।
গ্রীষ্মের প্রায় শেষ পর্বে হাওয়া অফিসের এই পূর্বাভাস অনেকটাই স্বস্তি বয়ে এনেছে। এ দিন কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে আট ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৫ ডিগ্রি, স্বাভাবিকের থেকে দু’ডিগ্রি কম। মৌসম ভবনের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এ দিনই কেরলে পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল বর্ষার। কিন্তু রবিবার মৌসম ভবন জানায়, কেরলে মৌসুমি বায়ু আসতে ৩ জুন হয়ে যাবে। কেরলে পৌঁছনোর পরে বঙ্গে বর্ষা আসতে অন্তত এক সপ্তাহ লাগার কথা। কিন্তু এ দিন সকাল থেকে আবহাওয়ার মতিগতি দেখে সাময়িক হলেও হাসি ফুটেছে অনেকের মুখে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিহার ও বিহার লাগোয়া উত্তরবঙ্গের উপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। বঙ্গোপসাগর থেকে ঢুকছে জোরালো জোলো হাওয়া। সেই জোলো হাওয়াই ঘনীভূত হয়ে মেঘ তৈরি করেছে এবং সেই মেঘ ডেকে এনেছে বর্ষণ। তিনি জানান, মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। কোনও কোনও এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ এবং জোরালো হাওয়া বইতে পারে। কলকাতার আকাশও মেঘলা থাকবে। কমবে দিনের তাপমাত্রা। রাতের তাপমাত্রা নামতে পারে ২৪ ডিগ্রির কাছাকাছি। আগামী পাঁচ দিন উত্তরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। প্রথম তিন দিন ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে, দেখা মিলতে পারে বজ্রবিদ্যুতের।
এ দিন রেডার-চিত্র বিশ্লেষণ করে আবহবিজ্ঞানীরা দেখেছেন, সকালেই কলকাতা এবং লাগোয়া গাঙ্গেয় বঙ্গের উপরে বিরাট বজ্রগর্ভ মেঘপুঞ্জ স্থির হয়ে আছে। গরম কালে বায়ুমণ্ডলের উপরের ও নীচের স্তরে তাপমাত্রা এবং বায়ুপ্রবাহের ফারাকের জন্য বজ্রগর্ভ মেঘ দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বয়ে যায়। কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতি না-থাকায় মেঘ থিতু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy