রাজভবনের চিঠি নবান্নকে। — ফাইল চিত্র।
রাজভবনের গেটের বাইরে ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকলেও তৃণমূল কী ভাবে মঞ্চ বেঁধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্নায় বসার পর থেকেই এমন প্রশ্ন তুলতে শুরু করে বিজেপি। দ্বিতীয় দিনেই এক্স হ্যান্ডলে এ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর পরে শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতিও ১৪৪ ধারা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ বার সেই প্রশ্ন তুলেই নবান্নকে চিঠি পাঠাল রাজভবন। সেখানে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। রাজভবন সূত্র জানিয়েছে, রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি লেখা হয়েছে। রাজভবন সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যার পরেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কলকাতা ফিরে আসছেন। ঠিক তার আগেই নবান্নে গিয়েছে রাজভবনের চিঠি।
প্রসঙ্গত, দার্জিলিঙে শনিবার সন্ধ্যাতেই তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বোস। রবিবার তিনি দার্জিলিঙে কিছুটা অসুস্থ বোধ করায় কলকাতায় ফেরার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি ইতিমধ্যেই পাহাড় থেকে শিলিগুড়ির পথে রওনা হয়ে গিয়েছেন। সন্ধ্যার বিমানে বাগডোগরা থেকে কলকাতা আসবেন। ঠিক তার আগেই রবিবার দুপুরে মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, নবান্নকে পাঠানো চিঠিতে মূলত তিনটি প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এক, ১৪৪ ধারা কার্যকর রয়েছে এমন এলাকায় মঞ্চ বেঁধে ধর্নার অনুমতি কি আদৌ দিয়েছিল কলকাতা পুলিশ? দুই, যদি দেওয়া হয়ে থাকে তবে কে দিলেন এবং কোন আইন বলে? তিন, যদি অনুমতি ছাড়াই ধর্নামঞ্চ বাঁধা হয়ে থাকে এবং তিন দিন ধরে বিক্ষোভ জমায়েত চলতে থাকে তবে পুলিশ এখনও পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে? এই সব প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব জবাব দিতেও বলেছে রাজভবন।
ইতিমধ্যেই বিজেপির পক্ষে এ নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘এই রাজ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য যে সব বেআইনি কাজই আইন তা বুঝিয়ে দিয়েছে পুলিশের ভূমিকা। কিন্তু মনে রাখতে হবে ভারতীয় সংবিধানের কাছে তিনি নেংটি ইঁদুর ছাড়া কিছুই নন।’’ অন্য দিকে, তৃণমূলও পাল্টা আক্রমণ করেছে বিজেপিকে। দলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘‘তৃণমূল মানুষকে নিয়ে আসনি, মানুষ তৃণমূলকে নিয়ে এসেছে। নবান্ন অভিযানের নামে মুঙ্গের থেকে অস্ত্র নিয়ে এসে পুলিশের উপরে যাঁরা আক্রমণ করে, পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দেয় তাঁদের মুখ থেকে এ সব কথা আমরা শুনতে রাজি নই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy