রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুদ্ধকরণ নিয়ে মুখ খুলে আগেই তাঁর নিশানা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার জেলা কমিটি ভেঙে দিয়ে হাওড়া জেলা তৃণমূলে এককভাবে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে সেই বৃত্ত সম্পূর্ণ করলেন তিনি। শুধু তাই নয়, সভাপতিপদে আরেক মন্ত্রী অরূপ রায়ের বিদায়ের সঙ্গে এদিন বদল করা হয়েছে তৃণমূলের জেলা অফিসও।
দলের দুর্নীতিগ্রস্ত পদাধিকারীদের আড়াল করা নিয়ে সম্প্রতি হাওড়ার দুই মন্ত্রীর কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। নাম না করলেও অরূপের বিরুদ্ধে দুর্নীতিগ্রস্ত একাংশকে আড়ার করার অভিযোগ তুলেছিলেন রাজীব। শীর্ষ নেতৃত্ব তখন সেটা ভাল চোখে দেখননি। তার পরেই দেখা যায়, নবীন প্রজন্মকে নেতৃত্বে এগিয়ে আনার স্রোতে রাজীব উপরে উঠে এসেছেন। কয়েকদিনের মধ্যে সাংগঠনিক রদবদলে হাওড়া (শহর) জেলা কমিটির সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অরূপকে। তাঁর জায়গায় সভাপতি করা হয় লক্ষ্মীরতন শুক্লকে। জেলার সাংগঠনিক সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় রাজীবকে। দলীয় সূত্রে খবর, লক্ষ্মীরতন দায়িত্ব পাওয়ার পর এ দিন জেলা কমিটির বৈঠক ডাকা হলেও বিদায়ী সভাপতি অরূপ সেখানে ছিলেন না। নতুন সভাপতি লক্ষ্মীরতন ও সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজীব ছাড়া ছিলেন সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া, গুলশন মল্লিক ও ব্রজনমোহন মজুমদার।
দলীয় সূত্রে খবর, সভাপতিপদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও অরূপ এখন জেলা দলের চেয়ারম্যান। সেই হিসেবেই এ দিনের বৈঠকে তাঁকে ডাকা হলেও তিনি আসেননি। তাঁর অনুপস্থিতিতে জেলা দলে ফাটল আরও প্রকট হয়েছে। সেখানেই ঠিক হয়েছে হাওড়া জেলা তৃণমূলের অফিস অন্যত্র সরানো হবে। পাশাপাশি পুরনো জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। জেলা তৃণমূলের এক নেতার কথায়, ‘‘জেলা ও ব্লক স্তরে কমিটি পুনর্গঠন করে বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করা হবে। সেই লক্ষ্যে জেলা ও নীচেরতলায় ত্রিস্তরীয় হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy