Advertisement
১৯ মে ২০২৪
TMC leader Kunal Ghosh

নিজেকে হিরো সাজানোর চেষ্টা, সরাসরি রাজনীতিতে আসুন, কুণালের লক্ষ্য কি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

কুন্তলের চিঠি প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করতে পারবে ইডি বা সিবিআই। এমনই পর্যবেক্ষণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। তার দেড় ঘণ্টার মধ্যে কুণালের টুইট।

Reaction of TMC leader Kunal Ghosh on order of justice Ganguly about Abhishek Banerjee

কাকে তোপ কুণালের? — ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:০৪
Share: Save:

নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত ও বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এমনই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ তিনি তা জানান। এর ঘণ্টা দেড়েক পরে বেলা ৩টে ৩ মিনিট নাগাদ একটি টুইট করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সেই টুইটের পরেই প্রশ্ন উঠেছে, কুণাল কি তবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্দেশেই এই টুইট করলেন? তবে টুইটে একটি বারের জন্যও বিচারপতির নামোল্লেখ নেই। তবে রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি আইনজীবীদের একাংশও মনে করছেন সরাসরি না হলেও কুণাল ‘সরাসরি রাজনীতিতে আসুন’ বলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কেই কটাক্ষ করেছেন।

প্রসঙ্গত বিভিন্ন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল এখন জেলবন্দি। গত ২৯ মার্চ শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেক দাবি করেছিলেন, সারদা মামলায় হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র এবং কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঘটনাচক্রে, কুন্তলও তার পরে একই অভিযোগ করেন। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, একটি সভায় অভিষেক বলেছিলেন তাঁর নাম বলার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে চাপ দেওয়া হয়েছিল। অভিষেকের মন্তব্যের সঙ্গে কুন্তলের চিঠির কোথায় সাযুজ্য রয়েছে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে বলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন। এর পরেই কুণাল টুইটে লেখেন, ‘‘যে ভাবে কোনও ক্ষেত্রে বিচারপতির আসনের অপব্যবহার করে রাজনীতি করা হচ্ছে, বিরোধীদের অক্সিজেন দিতে নিজের উইশ লিস্ট বলা হচ্ছে, নিজেকে ব্যক্তি প্রচারে হিরো সাজানোর চেষ্টা চলছে, তাতে বিচারব্যবস্থার সম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। ওই চেয়ারটা ছেড়ে সরাসরি রাজনীতিতে আসুন।’’

মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সওয়াল, ওই চিঠির বিভিন্ন অংশ দেখে তিনি নিশ্চিত যে, তার পিছনে ‘বাইরের কোনও হাত’ রয়েছে। চিঠির খসড়া বাইরের কেউ লিখেছেন বলেও তাঁর দাবি। বিকাশরঞ্জন আরও জানিয়েছেন, চিঠিতে লেখা হয়েছে ২১ মার্চ কুন্তলকে গ্রেফতার করে ইডি। অথচ গ্রেফতার করা হয়েছে ২১ জানুয়ারি। ২৯ মার্চ শহিদ মিনারে অভিষেকের সভার পরই এই চিঠি লেখার ঘটনা ঘটেছে বলে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিকাশরঞ্জন।

এই সওয়াল শোনার পরে বৃহস্পতিবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শহিদ মিনারের সভা থেকে দেওয়া অভিষেকের বক্তৃতার অংশ তদন্তের বাইরে রাখা উচিত নয়। ২৮ এপ্রিল ইডি এবং সিবিআই এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেবে। প্রয়োজন মনে করলে তারা জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিয়ো রেকর্ডও করতে পারবে। অন্য নানা অভিযোগে এর আগে কেন্দ্রীয় সংস্থার জেরার মুখে পড়েছেন অভিষেক। এ বার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণে কুন্তালের চিঠি সংক্রান্ত তদন্তে প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে অভিষেককে। তারই ক্ষোভ কি ফুটে উঠেছে কুণালের টুইটে?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kunal Ghosh tmc leader TMC Abhijit Ganguly
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE