সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।
প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে ৩৯২৯ জনের নিয়োগের মামলা পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। বুধবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি সিটি রবি কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মামলাটি পিছিয়ে গিয়েছে। আদালতের নির্দেশ, আগামী ১২ জুলাই প্রাথমিকে নিয়োগের মূল মামলার সঙ্গে জুড়ে যাবে এই মামলাটিও। সে দিনই হবে শুনানি।
২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ২০২০ সালের নিয়োগে ১৬,৫০০ পদে নিয়োগের কথা জানায় রাজ্য সরকার তথা পর্ষদ। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সব পদ পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্টে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে একটি তথ্য উঠে আসে। তা হল ১৬,৫০০ পদের মধ্যে সাড়ে ১২ হাজার পদে নিয়োগ হয়েছে। অর্থাৎ, ঘোষণা সত্ত্বেও ৩৯২৯ পদে নিয়োগ করা হয়নি।
এর পরেই হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ৩৯২৯টি শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে পর্ষদকে। তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল, এই শূন্যপদের অধিকার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের। তাই তাঁদেরই নিয়োগ করতে হবে। পরে টেটে প্রশ্ন ভুলের দরুণ মামলাকারীদের চাকরি দিতে নির্দেশ দেন তিনি। পর্ষদ এবং ২০১৭ সালের টেট উর্ত্তীর্ণদের একাংশ এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চও এ বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল রাখে। তবে শুধু মামলাকারীদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলেছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সকলকেই চাকরি দিতে হবে। তার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পর্ষদ। গত মে মাসে হাই কোর্টের এই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। বুধবার জানানো হয়, প্রাথমিকের মূল মামলাগুলির সঙ্গে জুড়ে যাবে এই মামলাটিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy