তৃণমূলের বহিষ্কার-সিদ্ধান্তে ভুল দেখছেন না কুন্তল। ফাইল চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর প্রায় ৫৩ দিনের মাথায় তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয় হুগলির বলাগড়ের যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে। বহিষ্কৃত হন হুগলির আর এক যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শান্তনু দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করলেও, প্রাক্তন দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগতই জানিয়েছেন কুন্তল। তাঁর আইনজীবী সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
আইনজীবীর সঙ্গে টেলিফোন-কথোপকথনে জেলবন্দি কুন্তল বলেছেন, “দল ঠিকই করেছে।” নিজেকে দলের এক জন একনিষ্ঠ, সাধারণ কর্মী হিসাবে পরিচয় দিয়ে কুন্তল জানিয়েছেন, সব কিছুর নিষ্পত্তি হয়ে গেলে দল নিশ্চয়ই কোনও সিদ্ধান্ত নেবে। সেই সিদ্ধান্তের জন্য তিনি অপেক্ষা করবেন বলেও নিজের আইনজীবীকে জানিয়েছেন কুন্তল। কুন্তলের জামিনের বিরোধিতা করে ইডি বার বার আদালতে ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্ব তুলে ধরেছে। জানিয়েছে, কুন্তল রাজনৈতিক দিক থেকে ‘প্রভাবশালী’। তবে রাজ্যের শাসকদল তাঁকে ছেঁটে ফেলায় এই ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্ব থেকে কুন্তল মুক্ত হলেন বলে মনে করছেন তাঁর আইনজীবী। কুন্তলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুললেও তদন্তকারীরা তাঁর কাছ থেকে ‘এক পয়সা’ও পায়নি বলে দাবি করেন কুন্তলের আইনজীবী।
নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে গত ২১ জানুয়ারি কুন্তলকে গ্রেফতার করে ইডি। পরে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা যায়। ইডির জেরার মুখে পড়েন কুন্তলের স্ত্রী জয়শ্রীও। তবে গ্রেফতারির সময়েও দলকে দুর্নীতির সঙ্গে না জড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন কুন্তল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy