'তব জয়গানে ২০২৩'
রেড ক্রিয়েটিভ আর্ট অ্যান্ড ইভেন্ট এবং বেঙ্গল ওয়েব সলিউশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হতে চলেছে 'তব জয়গানে ২০২৩'। বাঙালির শ্রেষ্ঠ মহোৎসব দুর্গাপুজো। তাই দুর্গোৎসবের মধ্যে দিয়েই বাংলার বিস্তৃত বহুমুখী সংস্কৃতির চিত্র সুস্পষ্ট রূপে ধরা পড়ে। কিন্তু দীর্ঘ সময়ের পথ বেয়ে চলতে চলতে দুর্গা পুজোর প্রাচীন জৌলুস ও গম্ভীর রূপ অনেকাংশে ঢাকা পড়েছে আধুনিকতার অভিনব জাঁকজমকে। কিন্তু আধুনিক সময়ে দাঁড়িয়ে, আধুনিকতাকে আঁকড়ে ধরে চললেও অতীতের সংস্কৃতিকে আমরা কখনওই উপেক্ষা করতে পারি না।
সেই অতীতের খোঁজেই শিল্পী কণ্ঠে গানের সুর ধ্বনিত হতে চলেছে 'তব জয় গানে ২০২৩' অনুষ্ঠানে। এই জয়গান কেবল দেবীসত্ত্বার জয়গান নয়, সংস্কৃতির জয়গান। তাই এই অনুষ্ঠানে যেমন থাকবে এই সময়ের আধুনিক গানের পরিবেশনা, তেমনই থাকবে পুরনো ধারার নানা বিষয় থেকে শুরু করে হরেক গান- রামায়ণ গান, কীর্তন, আগমনী, টপ্পা, লোকসঙ্গীত সব কিছুই। এর সঙ্গে যেমন থাকবে নতুন ধারার শ্রুতিনাটক, তেমনই থাকবে প্রাচীন ঢাকের লড়াই। সব মিলিয়ে এক বহুমুখী বিচিত্রানুষ্ঠান।
এই প্রচেষ্টাকে বাস্তবায়িত করতে এগিয়ে এসেছেন হৈমন্তী শুক্ল, লোপামুদ্রা মিত্র, মনোময় ভট্টাচার্য, জয়তী চক্রবর্তী, অরিত্র দাশগুপ্ত, গৌরব সরকার, সুজয় ভৌমিক, সোমদত্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রিকা ভট্টাচার্য। 'শ্রুতি নাটক'-এ থাকছেন জগন্নাথ বসু ও উর্মিমালা বসু। লোকসঙ্গীত পরিবেশনায় থাকবেন দীপান্বিতা আচার্য, পৌষালী ব্যানার্জি, তীর্থ ভট্টাচার্য ও ঋষি চক্রবর্তী; 'রামায়ণ গান' উপস্থাপনায় বিভাবেন্দু ভট্টাচার্য। কীর্তন পরিবেশন করবেন অদিতি মুন্সী। মোনা দাসের নেতৃত্বে ‘ঢাকের লড়াই’ উপস্থাপনা করবে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ‘মহাপ্রভু ঢাকি সম্প্রদায়’। 'উমার ঘরে ফেরার গাথা' ভাবনা এবং পরিবেশনায় থাকছেন সৃজন চট্টোপাধ্যায় এবং মৌনীতা চট্টোপাধ্যায়। সমগ্র ভাবনা দু'টি পর্বে, দুই দিনে পৃথক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপস্থাপিত হবে।
প্রথম পর্ব অর্থাৎ 'দুগ্গী এলো ঐ' পর্বে থাকছে-
১। নবদুর্গা- একটি প্রযোজনা, যা পুরাণের প্রাচীন নবদুর্গার ধারাকে অক্ষুণ্ণ রেখে, এই যুগের এক মানবীর মধ্যে সেই নবদুর্গার সামঞ্জস্য উদ্ভাসিত করা। এই নবদুর্গার মধ্যে দিয়ে বর্তমান সমাজ, সময়কাল উঠে আসবে ভাষ্যে, আবৃত্তিতে এবং যন্ত্রসঙ্গীতের এক সমবেত কোলাজে। এই উপস্থাপনা মঞ্চস্থ করবেন সুপরিচিত উপস্থাপক ও আবৃত্তি শিল্পী মৌনীতা চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে থাকবেন বাঁশিবাদক সৌম্যজ্যোতি ঘোষ, বিশিষ্ট তালবাদ্য শিল্পী সোমনাথ রায় এবং সেতার শিল্পী সুভাষ বসু ও আরও অনেকে।
২। মহিষাসুরমর্দিনী- মহালয়ার ভোরে রেডিও-তে মহিষাসুরমর্দিনী। এমন কোনও বাঙালি নেই যে নিজেকে এই রসাস্বাদনের থেকে বঞ্চিত রাখতে পেরেছে বা পারবে। রচনা- বাণীকুমার, সঙ্গীত আয়োজন ও সঙ্গীত পরিচালনা- পঙ্কজ কুমার মল্লিক এবং ভাষ্য ও চণ্ডীপাঠ- বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। এই ত্রয়ী এবং তাঁদের সঙ্গে সেই সময়ের বহু গুণী শিল্পী এই প্রযোজনাটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অবিস্মরণীয় এই কালজয়ী কীর্তিটিই অবিকৃত রূপে এই সময়ের শিল্পীদের দ্বারা কয়্যার এবং অর্কেস্ট্রেশনের মধ্য দিয়ে মঞ্চে পরিবেশিত হতে চলেছে। সমগ্র পরিকল্পনা, পরিচালনা এবং প্রয়োগে সৃজন চট্টোপাধ্যায়, চণ্ডীপাঠে- সৃজন চট্টোপাধ্যায় এবং সঙ্গীতায়োজনে দেবর্ষি মুখোপাধ্যায়। যন্ত্রানুষঙ্গে এই সময়ের বহু বিশিষ্ট যন্ত্রশিল্পীরা এই প্রযোজনাটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। গানে রয়েছেন শমীক পাল, আইভি বন্দ্যোপাধ্যায়, রাগেশ্রী দাস, ইন্দ্রনীল দত্ত, তৃষা পাড়ুই প্রমুখ শিল্পী। এই অভিনব অনুষ্ঠানটির সাক্ষী থাকতে ৭ অক্টোবর, শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় নজরুল মঞ্চে উপস্থিত থাকতে পারেন আপনিও। সমগ্র অনুষ্ঠানটির ডিজিটাল মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকছে আনন্দবাজার অনলাইন।
এই সুন্দর সন্ধ্যার সাক্ষী থাকুন আপনিও।
পাসের জন্য ফোন করুন ৯৯০৩৩৬০৩৪১ / ৯০৭৩২০৩৬৬৬
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy