Advertisement
E-Paper

অনেক লড়াইয়ের পর রসগোল্লার স্বীকৃতি, খুশি বাংলা

তবে এই স্বীকৃতি আদায় সহজে এল না। ওডিশার সঙ্গে অনেক ‘লড়াই’ করে মিলল এই সম্মান।

ঋজু বসু

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৭ ১৮:৫২

রসগোল্লা কার, পশ্চিমবঙ্গ না ওডিশার, তা নিয়ে লড়াই শুরু হয়েছিল বছর দুয়েক আগে। অবশেষে জিআই কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নিল রাজ্য। এর ফলে রসগোল্লাকে ‘বাংলার’ বলার অধিকারও মিলল।

পশ্চিমবঙ্গের নিজস্ব পাঁচ উৎপাদনের ‘জিআই’ ট্যাগ পেতে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার৷ প্রথম চারটি অর্থাৎ সীতাভোগ-মিহিদানা, তুলাইপাঞ্জি ও গোবিন্দভোগ চাল নিয়ে সমস্যা খুব একটা কখনওই ছিল না৷ গোল বেধেছিল পাঁচ নম্বর অর্থাৎ রসগোল্লাকে নিয়ে৷ কারণ, ওডিশার দাবি ছিল রসগোল্লা তাদের। এ দিন সব দাবি খারিজ করে পশ্চিমবঙ্গকেই স্বীকৃতি দিল জিআই।

আরও পড়ুন: পুরীর ভোগকে ঘিরে বাংলার সঙ্গে রসগোল্লা যুদ্ধ

প্রায় দেড়শো বছর আগে রসগোল্লার অস্তিত্ব সে ভাবে কারও জানা ছিল না। চৈতন্যচরিতামৃতে কিছু ছানার উল্লেখ থাকলেও তার মধ্যে রসগোল্লার নাম নেই। জগন্নাথ দেবকে দেওয়ার জন্য যে মিষ্টিটি আগে ব্যবহার করা হত তার নাম সম্ভবত ক্ষীরমহল। এর সঙ্গে রসগোল্লার কিছু মিল থাকতে পারে, কিন্তু তা আদতে ছানার নয়। এ ছাড়াও জিআই কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছেন, ছানা দিয়ে মিষ্টি তৈরির প্রক্রিয়াটা পুরোপুরি বাংলার নিজস্ব। দুধ ‘ছিন্ন’ হয়ে ছানা তৈরি হয় বলে তা দেবতাকে উৎসর্গ করার অযোগ্য— এটা ধরে নিয়ে গোটা ভারতে ছানার দ্রব্যকে পাতে দেওয়া হত না। আর এই ছানা নিয়েই বাংলার মিষ্টি কারিগরদের কারসাজি। প্রথমে মন্ডা, সন্দেশ, তার পর রসগোল্লা।

চেন্নাইয়ের জিআই কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতির পর আমরা হাজির হয়েছিলাম প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন বিক্রেতা নবীনচন্দ্র দাসের রসুইঘরে। সেই রসুইঘরেরই এক টুকরো ছবি তুলে ধরলাম পাঠকদের জন্য—

ভিডিওঃ দেশকল্যাণ চৌধুরী

Rasagolla Bengal Odisha GI
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy