Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Suicide

Suicide: দিনকয়েক আগে আত্মঘাতী বান্ধবী, সে শোকেই কি গলায় ফাঁস দিলেন শান্তিনিকেতনের পড়ুয়া!

বুধবার সন্ধ্যায় সুমনের মেসের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করা ছিল বলে দাবি। সুমনের সাড়া না পেয়ে বন্ধুরাই শান্তিনিকেতন থানায় খবর দেন।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২২ ২২:১৬
Share: Save:

দু’এক দিন আগেই আত্মঘাতী হয়েছিলেন বান্ধবী। সেই ঘটনার জেরেই কি গলায় ফাঁস দিলেন শান্তিনিকেতনের ছাত্র? বুধবার সন্ধ্যায় শান্তিনিকেতনের রথীন্দ্রপল্লি থেকে ওই পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোট দেখে তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, প্রেমের সম্পর্কে অবনতির জেরেই এই পথ বেছে নিয়েছেন ওই পড়ুয়া।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম সুমন দে। বছর কুড়ির ওই পড়ুয়া আদতে হুগলি জেলার কামারপুকুর এলাকার বাসিন্দা। তবে শান্তিনিকেতনের সিকম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য রথীন্দ্রপল্লির একটি মেসে ভাড়া থাকতেন তিনি। কৃষি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন সুমন। তাঁর বন্ধুদের দাবি, বুধবার সন্ধ্যায় মেসের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করা ছিল। বহু ক্ষণ ধাক্কাধাক্কি সত্ত্বেও সুমনের সাড়া না পেয়ে তাঁরাই শান্তিনিকেতন থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সুমনের দেহের ময়নাতদন্তের জন্য তা বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর ঝুলন্ত দেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতে লেখা, ‘মা-বাবা ভাল থেকো। ও না থাকলে আমি কষ্টে থাকতে পারব না।’

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, দিন কয়েক আগেই আত্মহত্যা করেছেন সুমনের বান্ধবী। সুমনের দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে ওই বান্ধবীর উল্লেখই করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। এর জেরেই কি আত্মঘাতী হলেন সুমন? উঠছে প্রশ্ন। যদিও তদন্তে সব দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এই ঘটনায় হতবাক সুমনের সহপাঠী বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘শুনলাম, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সুমন। কেন এ রকম করল, বুঝে উঠতে পারছি না। কিছু দিন আগেও তো আমাদের সঙ্গে ওর কথাবার্তাও হয়েছে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Suicide santiniketan Crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE