সারদার স্থাবর সম্পত্তি নিলামে তুলছে সেবি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সারদার সমস্ত স্থাবর সম্পত্তি নিলামে তুলছে ‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া’ (সেবি)। এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সেবি। আগামী ৯ নভেম্বর ই-অকশনের মাধ্যমে সারদা গ্রুপ অফ কোম্পানিজ এবং তার ডিরেক্টরদের স্থাবর সম্পত্তি নিলামে উঠবে। নিলামে অংশ নিতে ইচ্ছুকরা আবেদনপত্র দাখিল করতে পারবেন ৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটে সেবির কার্যালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বরের বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনপত্র গ্রহণের শেষ সময় ২৮ অক্টোবর এবং ১ নভেম্বর নিলাম হওয়ার কথা থাকলেও উৎসবের মরসুমের প্রেক্ষিতে যাতে আরও বেশি ইচ্ছুক ক্রেতা নিলামে অংশ নিতে পারেন, সে কথা ভেবে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ও নিলামের দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই প্রেক্ষিতেই সারদায় টাকা রেখে প্রতারিতদের প্রশ্ন, নিলাম তো হবে। কিন্তু নিলামে ওঠা টাকা কি তাঁরা পাবেন? সেবির সাম্প্রতিক বিজ্ঞপ্তিতে অবশ্য তা স্পষ্ট নয়। স্বভাবতই, আইন, আদালত, নিলাম প্রক্রিয়া নিজের গতিতে চললেও, সারদায় টাকা রেখে সর্বস্ব খোয়ানো মানুষের সেটাই একমাত্র চিন্তা।
দীর্ঘ দিন হল সারদা মামলা চলছে আদালতে। সর্বশেষ, কলকাতা হাইকোর্ট সারদার মামলা পাঠিয়েছিল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শৈলেন্দ্রপ্রসাদ তালুকদারের কমিটির হাতে। আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী অরিন্দম দাস জানিয়েছিলেন, সিবিআই, ইডি, রাজ্য সরকার-সহ বিভিন্ন সংস্থার হেফাজতে সারদার যত টাকা ও সম্পত্তি আছে, সে সব তালুকদার কমিটির হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
এর আগে সারদা মামলায় ৫০০ কোটির তহবিল গড়ার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শ্যামল সেনের কমিশনের কাছে রাজ্য ২৮৭ কোটি টাকা প্রতারিত আমানতকারীদের ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়ার জন্য দিয়েছিল। আমানতকারীদের আর এক আইনজীবী শুভাশিস চক্রবর্তী হাই কোর্টকে জানিয়েছিলেন, ওই তহবিলে ১৪০ কোটি টাকা এখনও পড়ে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সারদা-সহ ৮৬টি বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার কার্যকলাপ তদন্তের জন্য শ্যামল সেন কমিশনকে দায়িত্ব দিয়েছিল রাজ্য সরকার সরকার। কমিশনের কাজের পরিধি ঠিক করতে ছ’টি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ২০১৪-র ২৩ এপ্রিল কমিশন চালু হওয়ার পর থেকে টাকা ফেরত চেয়ে আবেদন জানান সাড়ে ১৭ লক্ষ আমানতকারী। সূত্রের খবর, এঁদের মধ্যে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার জনকে চেক বিলি করেছিল কমিশন। নানা কারণে আমানতকারীদের দিতে পারেনি বলে ১০২ কোটি টাকা রাজ্যকে ফিরিয়ে দেয় কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy