দীনবন্ধু কলেজের পিছনের দেওয়ালে বোমার দাগ। নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের গণনার দিন অশান্তি বনগাঁয়। গণনাকেন্দ্রের সামনে বোমাবাজির অভিযোগ। বোমার আঘাতে তৃণমূলের প্রার্থী দম্পতির সন্তান জখম হয়েছেন। বিজেপি এবং সিপিএমের বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ করেছে শাসকদল।
বনগাঁর দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোটগণনা শুরু হয়। অভিযোগ, বিজেপি এবং সিপিএমের কর্মীরা সেখানে সন্ত্রাসের মাধ্যমে গণনা ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই উদ্দেশ্যেই বোমাবাজি করা হয়। বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী তথা সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ এবং ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী উমা ঘোষের পুত্র রুদ্রপ্রসাদ ঘোষ। গণনাকেন্দ্রের সামনে বোমাবাজিতে রুদ্রপ্রসাদ জখম হন।
ওই প্রার্থী দম্পতির ঘনিষ্ঠমহল থেকে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে জানানো হয়েছে, মা উমাকে নিয়ে দীনবন্ধু কলেজের ভিতরে যাচ্ছিলেন রুদ্রপ্রসাদ। তাঁদের লক্ষ্য করে দু’টি বোমা নিক্ষেপ করা হয়। মাকে আগলে রাখতে পারলেও নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি রুদ্রপ্রসাদ। বোমার আঘাতে তাঁর ডান হাতটি জখম হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বনগাঁ তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘সিপিএম এবং বিজেপি গণনাকেন্দ্রের সামনে সন্ত্রাসের চেষ্টা করছিল। গণনা বাতিলের চেষ্টা করছিল। আমরা তা রুখে দিয়েছি। ওরা বোমাবাজি করেছে। চারটের বেশি বোমা ফাটানো হয়েছে। আমরা তার মোকাবিলা করেছি। আমরা আশাবাদী, মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পক্ষেই ভোট দেবে।’’
তবে বোমাবাজির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। বনগাঁ বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল এ বিষয়ে পাল্টা তৃণমূলকেই দুষেছেন। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল বনগাঁর দীনবন্ধু কলেজে তাণ্ডব চালাচ্ছে। আমাদের সরানোর জন্য ওরা পর পর দু’টি বোমা মেরেছে। গণনাকেন্দ্রের ভিতর থেকে আমাদের কর্মীদের বার করে দিয়েছে। জয়ী প্রার্থীদের সার্টিফিকেটও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। মানুষ সব দেখছে। রাজ্যে গণতন্ত্র উচ্ছন্নে গিয়েছে। মানুষই এর জবাব দেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy