Advertisement
E-Paper

Visva Bharati : বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙল কে, ধোঁয়াশা

গত প্রায় ১৫ মাস ধরে ওই অবস্থাতেই ছিল পাঁচিলটি। কিন্তু, শনিবার দেখা যায় পাঁচিল ভেঙে রাস্তা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে।

সৌরভ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২২ ০৫:৫৮
এই পাঁচিলই ভেঙে ফেলা হয়েছে।

এই পাঁচিলই ভেঙে ফেলা হয়েছে। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

বিশ্বভারতীর সীমানা নির্ধারণ করতে শান্তিনিকেতনের সুরশ্রীপল্লিতে আকাশবাণী কেন্দ্রের সামনে একটি পাঁচিল নির্মাণ করেছিল বিশ্বভারতী। তা নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল বিস্তর। রাতারাতি সেই পাঁচিল ভেঙে ফেলেছে কে বা কারা! ভাঙা পাঁচিলের ইট-বালি সরিয়ে জায়গাটি পরিষ্কারও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসন বা শান্তিনিকেতন-শ্রীনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদ (এসএসডিএ)—তাদের কারও কাছেই এই বিষয়ে কোনও তথ্য নেই বলে দাবি করেছে।

শান্তিনিকেতনে একাধিক জায়গায় এমনই পাঁচিল নির্মাণ নিয়ে বীরভূম জেলা প্রশাসন, শাসকদল এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের বড় অংশের সঙ্গে সংঘাতের পরিস্থিতি হয়েছিল বিশ্বভারতীর। সেই পাঁচিল হঠাৎ উধাও হওয়ায় অবাক শান্তিনিকেতনের অনেকেই। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে সুরশ্রীপল্লির ওই পাঁচিল পরিদর্শনে যান তৎকালীন জেলাশাসক বিজয় ভারতী ও জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ। সাধারণের যাতায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ বন্ধ রাখার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে পাঁচিল তৈরির কাজ বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেন জেলাশাসক। পাঁচিলের সামনে বসানো হয় পুলিশ পিকেট। এর পর নির্মাণের কাজ আর না এগোলেও সাধারণের চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ওই রাস্তায়।

গত প্রায় ১৫ মাস ধরে ওই অবস্থাতেই ছিল পাঁচিলটি। কিন্তু, শনিবার দেখা যায় পাঁচিল ভেঙে রাস্তা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনা ঘটেছে দিন তিনেক আগে। বিশ্বভারতীর এক আধিকারিক
জানান, কয়েক দিন আগেই ওই পাঁচিলটি সরিয়ে রাস্তাটিকে চলাচলের যোগ্য করে তোলার জন্য এসএসডিএ-র পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। যদিও এসএসডিএ-র পক্ষ থেকে বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “এই পাঁচিলটি নিয়ে আমরা ভাবনা চিন্তা করছিলাম। তবে পাঁচিল কারা ভেঙেছে, সেই বিষয়টি আমাদের কাছেও স্পষ্ট নয়।’’

শান্তিনিকেতন থানাতেও এই বিষয়ে কোনও পক্ষের তরফেই কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি বলে জানা গিয়েছে। যদিও বিশ্বভারতীর ওই আধিকারিক বলেন, “বিষয়টা জানার পরেই শনি ও রবিবারের সাপ্তাহিক ছুটি পড়ে গিয়েছে। সোমবার সকলের সঙ্গে আলোচনা করে পুলিশে অভিযোগ জানানো হতে পারে।” তাঁর সংযোজন, “বিশ্বভারতীর সীমানা সুরক্ষিত করার কাজটি শ্রমসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ। আগামী দিনে আবারও আমরা সীমানা সুরক্ষিত করার
চেষ্টা করব।”

Visva Bharati
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy