Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
SSC recruitment scam

এসএসসি দুর্নীতি তদন্তে ঢিলেমি! সিবিআইয়ের সিট পুনর্গঠনের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

সিবিআই অত্যন্ত ধীর গতিতে তদন্ত করছে, যাতে খুশি নন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিট পুনর্গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ৭ দিনের মধ্যে ডেকে পাঠিয়েছেন সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিংহকে।

সিবিআই তদন্ত নিয়ে ফের অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

সিবিআই তদন্ত নিয়ে ফের অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২২ ১৭:৩০
Share: Save:

স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত নিয়ে ফের অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার গ্ৰুপ-ডি এবং গ্ৰুপ-সি কর্মী নিয়োগ মামলায় সিবিআইয়ের সিটেও পরিবর্তন করেন তিনি। সিট থেকে বাদ দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দুই আধিকারিককে। পরিবর্তে সিটে নিয়ে আসা হয় সিবিআইয়ের নতুন ৪ সদস্যকে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পুনর্গঠিত সিটের মাথায় সিবিআইয়ের ভূতপূর্ব ডিআইজি অখিলেশ সিংহকে নিয়ে আসেন। তাঁর নির্দেশ, যেখানেই থাকুন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ৭ দিনের মধ্যে অখিলেশকে কলকাতায় পাঠাতে হবে।

এর আগে সিবিআইয়ের সিটে রাখা হয়েছিল ধরমবীর সিংহ, সত্যেন্দ্র সিংহ, কেসি ঋষিনামূল, সোমনাথ বিশ্বাস, মলয় দাস এবং ইমরান আশিক। বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইয়ের সিট থেকে দুই আধিকারিককে বাদ দেন। বাদ পড়েছেন কেসি ঋষিনামূল এবং ইমরান আশিক। নতুন ৪ সদস্য ডেপুটি এসপি অংশুমান সাহা এবং ইন্সপেক্টর বিশ্বনাথ চক্রবর্তী, প্রদীপ ত্রিপাঠি ও ওয়াসিম আক্রম খানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অখিলেশের নেতৃত্বে কাজ করবে এই সিট।

বুধবার সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতকে জানান, প্রাক্তন ডিআইজি অখিলেশ এখন এ রাজ্যে কর্মরত নন। তাঁকে দিল্লিতে বদলি করা হয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের অবশ্য নির্দেশ, সিবিআইয়ের ওই অধিকর্তাকেই কলকাতায় পাঠাতে হবে। বিশেষ করে স্কুল নিয়োগ মামলার তদন্ত করতে। সিবিআইয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি তাঁর নির্দেশ, অখিলেশ যেখানেই থাকুন, ৭ দিনের মধ্যে তাঁকে কলকাতায় পাঠাতে হবে।

স্কুল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের এত দিনের গতিপ্রকৃতি দেখে বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, ‘‘সিবিআই খুবই ধীরে কাজ করছে। গত নভেম্বরে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। জুন মাসে সিট গঠন করা হয়েছিল। গ্ৰুপ ডি-তে মোট ৫৪২ জনের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ ছিল। সিবিআই এখনও পর্যন্ত মাত্র ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। অর্থাৎ, ৫ শতাংশের থেকেও কম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE