মন্ত্রী সৌমেনের ভাগ্নির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের ভাগ্নির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে। বুধবার খড়্গপুর আইআইটি ক্যাম্পাসের কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হয়েছে সৌমেনের ভাগ্নি স্বাগতা ভট্টাচার্যের দেহ। গত নভেম্বরে আইআইটিতে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের রথনালি এলাকায় স্বাগতার বাড়ি। কলকাতার পিজি হাসপাতালে তিন বছর কাজ করার পর সম্প্রতিই খড়্গপুরে এসেছিলেন তিনি। আইআইটির কোয়ার্টারে মা তপতী ভট্টাচার্যকে নিয়ে থাকতেন স্বাগতা। পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার সকালে বাজারে গিয়েছিলেন তপতী। ফিরে এসে দেখেন বাড়ির দরজা ভিতর থেকে লাগানো। বহু বার ডাকাডাকিও করেন মেয়েকে। সাড়া না পেয়ে ফোনও করেছিলেন। স্বাগতা ফোন না তোলায় পড়শিদের ডেকে আনেন তপতী। খবর দেওয়া হয় ক্যাম্পাস চত্বরের হিজলি ফাঁড়িতেও। এর পরেই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় স্বাগতার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়।
ভাগ্নির মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন মন্ত্রী সৌমেন। হাসপাতালে আসেন মৃতার ভাই সায়ন্তন, পিসিমা সোমা ভট্টাচার্য, খড়্গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার, খড়্গপুর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হেমা চৌবে। সৌমেন বলেন, ‘‘খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। অধ্যাপিকা হিসাবে আমার ভাগ্নির সুনাম ছিল। পিজি থেকে এমবিবিএস এবং এমডি পাশ করেছিল। সেখানে তিন বছর কাজ করার পর খড়্গপুর আইআইটিতে যোগ দেয়। হঠাৎ করে এমনটা হওয়ার কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। কোনও মানসিক অবসাদ ছিল না কি না, জানার চেষ্টা করব। আইআইটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলব। বোনের সঙ্গেও কথা বলব।’’
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাগতার বিয়ে হয়েছিল। পরে পারিবারিক বিবাদে স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়। সৌমেন আরও বলেন, ‘‘ওঁদের (স্বাগতা) বাড়িতে আমার যাতায়াত একটু কম। তবে ওঁর বিয়েতে মামা হিসাবে থেকেছি। সাময়িক ভাবে কোনও অবসাদ তৈরি হয়েছিল কি না, তা বোঝা মুশকিল। গত ভাইফোঁটায় যখন ওঁর মায়ের কাছে ফোঁটা নিতে গিয়েছিলাম। ওঁর সঙ্গেও কথা হয়েছিল। কখনই মানসিক অবসাদের কথা জানতে পারিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy