প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধাক্কা খেল সাক্ষ্যগ্রহণ। এই মামলায় রাজ্যের কারা এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট)। মঙ্গলবার ইডি আদালতে জানিয়েছে, রাজভবন থেকে চার্জশিটের স্যাংশন (অনুমোদন)-এর জন্য প্রয়োজনীয় নথি হাতে পায়নি তারা। ফলে এই চার্জশিট আদালতে জমা পড়লেও তা গৃহীত হয়নি। সে কারণে পরবর্তী প্রক্রিয়া চালানো সম্ভব নয়। মঙ্গলবার নিয়োগ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের কথা থাকলেও তা করা যায়নি। ২০ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
গত বুধবার কলকাতার বিশেষ সিবিআই আদালতে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় ইডি। এর আগে দু’বার ইডির হাজিরা এড়িয়েছিলেন মন্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার ইডির দফতরে হাজিরা দেন বীরভূমের বোলপুর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক চন্দ্রনাথ। তবে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না, স্পষ্ট নয়।
গত ৩১ জুলাই চন্দ্রনাথের কাছ থেকে সম্পত্তির নথি চেয়ে পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। মন্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্যের নথি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চন্দ্রনাথ হাজিরা দিতে যাননি। তিনি ইডি-র কাছে সময় চেয়েছিলেন বলে জানা যায়। ইডিকে তিনি জানিয়েছিলেন, ৩১ জুলাই যেতে না-পারলেও তিনি সমস্ত নথিপত্র গোছাচ্ছেন। শীঘ্রই তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের কাছে হাজিরা দিতে পারেন। তার পর বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে যান তিনি। তার আগেই অবশ্য তাঁর নামে চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি।
ইডি সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে বলাগড়ের বহিষ্কৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের সূত্র ধরে চন্দ্রনাথের নাম উঠে আসে। উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৫ জুলাইও চন্দ্রনাথকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। সে বারও যাননি মন্ত্রী। চন্দ্রনাথের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। সেই সময় মন্ত্রীর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। সেই ফোনটি খোলার জন্য সে বার চন্দ্রনাথকে তলব করা হয়েছিল। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে মন্ত্রীর বাড়ি থেকে নগদ ৪১ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করে ইডি। এর পরে গত ২৮ জুলাই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চন্দ্রনাথকে দ্বিতীয় বার নোটিস পাঠানো হয়। ৩১ জুলাই ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। কিন্তু দ্বিতীয় বারেও হাজিরা এড়ান মন্ত্রী। চার্জশিটে এই বিষয়গুলির উল্লেখ রয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। তবে সেই চার্জশিট এখনও গৃহীত হল না আদালতে।