অসমের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে সক্রিয় হয়ে উঠেছে একটি চক্র—এমনই তথ্য জানতে পেরে অসমে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই কোচবিহারেও সোশ্যাল নেটওয়ার্কে নজরদারি শুরু করল জেলা পুলিশ।
রীতিমতো সোশ্যাল সেলে রাতদিন চব্বিশ ঘণ্টা চলছে নজরদারি। কারা কোথা থেকে অসমের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে কী পোস্ট করছে প্রতিদিন, তা রিপোর্ট আকারে পেশ হচ্ছে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে। কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, “সোশ্যাল নেটওয়ার্কে নিয়মিত নজরদারি চলছে। কেউ কোনও ভাবে বেআইনি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নিম্ন অসম লাগোয়া কোচবিহার জেলা। প্রতিদিন ধুবুরি ও কোকরাঝাড় থেকে বহু মানুষ যাতায়াত করেন কোচবিহারে।
আবার কোচবিহার থেকেও বহু মানুষ যান নিম্ন অসমে। এই অবস্থায় অসমের নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই রাজ্য সীমান্তের দুই পাশেই শুরু হয়ে যায় কড়াকড়ি। অসমে পুলিশ একদিকে তল্লাশি বাড়িয়ে দেয় সীমান্তে। কোচবিহার পুলিশও নজরদারি, তল্লাশি বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ। ধুবুরি জেলার পুলিশের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে কোচবিহার পুলিশ। পুলিশ সুপার নিজে কথা বলছেন ওপাশের পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে। এই অবস্থায় কোনও ভাবেই যাতে কেউ অশান্তি ছড়াতে না পারে সে জন্যেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কে জোরদার করা হয়।
এক পুলিশ কর্তা বলেন, “পুরনো কোনও ছবি অথবা অন্য কোনও জায়গার ছবি নানা ভাবে এডিট করে অসমের বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে। যাতে উত্তেজনা বাড়তে পারে। সে জন্যেই কড়া অবস্থান নেওয়া হয়েছে।”
কোচবিহারের বহু মানুষ থাকেন অসমে। আবার বহু মানুষের আত্মীয়স্বজনরাও রয়েছেন সেখানে। স্বাভাবিক ভাবেই যে কোনও একটা ঘটনার প্রভাব খুব সহজেই পড়তে এই জেলায়।
সেদিকেই সতর্ক রয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, সোশ্যাল নেটওয়ার্কে নজরদারির জন্যে আট জনের একটি দল রয়েছে। সেখানে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক নিয়ে অবহিত শুধু নন, দক্ষ অফিসারদের রাখা হয়েছে। আলাদা অফিসঘর, কম্পিউটার দেওয়া হয়েছে। যারা সন্দেহজনক স্ট্যাটাস রয়েছে এমন ক্ষেত্রে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশ সুপারকে জানান।
কিছু দিন গ্রেটার কোচবিহার লিবারেশন অর্গানাইজেশন নামে একটি সংগঠনের কথা বলে সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করে এক ব্যক্তি। সোশ্যাল নেটওয়ার্কের ওই টিমের মাধ্যমেই পুলিশ তা জানতে পারে।
পুলিশ সুপার বলেন, “কিছুদিন আগে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে নজরদারির জন্য টিম তৈরি করা হয়। তারা অসম বিষয়ে চোখ রাখছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy