বাগুইআটি থানা এলাকার একটি আবাসন সংলগ্ন রাস্তা থেকে এক পড়ুয়াকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল শনিবার রাতে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয় বছর বাইশের সৌরভ সুমন নামের ওই যুবককে। তাঁর বাড়ি বিহারের ভাগলপুরে। বাগুইআটি এলাকারই ঝাউতলায় একটি বহুতলে তিনি ভাড়া থাকতেন। আগরপাড়ার একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বি টেক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন সৌরভ।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পরে জানিয়েছে, রাস্তার আশপাশের কোনও বহুতল থেকে সৌরভ পড়ে যান। পুলিশ জেনেছে, শুক্রবার ওই পড়ুয়ার বাড়িতে তাঁর দুই বন্ধু গিয়েছিলেন। শনিবার ছিল তাঁদের কলেজের ফেস্ট। সৌরভের দুই বন্ধু সেখানে যান। তবে, রাতে জিমে যাবেন বলে তিনি আর ফেস্টে যাবেন না, এমনটাই বন্ধুদের জানিয়েছিলেন সৌরভ। রাত পৌনে ৯টা নাগাদ এক বন্ধুকে সৌরভ ফোন করে জানান, তিনি অসুস্থ বোধ করছেন। তিনি চার্নক হাসপাতালের কাছে রয়েছেন। দ্রুত যেন সেখানেই বন্ধু পৌঁছে যান।
এর কিছু ক্ষণ পরে ওই হাসপাতালের উল্টো দিকের একটি আবাসন সংলগ্ন রাস্তা থেকে সৌরভকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অনুমান, কোনও ভাবে তিনি উপর থেকে পড়ে যান। দ্রুত সৌরভকে নিয়ে যাওয়া হয় বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রশ্ন উঠছে, কী ভাবে সৌরভ ওই এলাকায় গেলেন? স্থানীয়দের কথায়, সম্ভবত নজর এড়িয়ে ওই পড়ুয়া ওই রাস্তার আশপাশের কোনও বহুতলের ছাদে উঠে পড়েছিলেন। কিন্তু কেন? তা জানতে আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হবে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত্যুর নেপথ্যে অবসাদ, অশান্তি, প্রণয়জনিত কোনও বিষয় বা অন্য রহস্য আছে কিনা, তা দেখা হচ্ছে। সৌরভের বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পুলিশ জেনেছে, সৌরভের সঙ্গে এক তরুণীর ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল। পরে সেই সম্পর্কে চিড় ধরে। সেই ঘটনার সঙ্গে এই মৃত্যুর যোগ আছে কিনা, তা-ও দেখা হচ্ছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)