ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনকে (এসআইআর) সামনে রেখে ফের সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি, টানা আন্দোলনের ডাক দিয়েছে এসইউসি। বিজেপি পাল্টা অনুপ্রবেশ-তত্ত্বের কথাই সামনে এনেছে।
রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য শনিবার শিলিগুড়িতে বলেছেন, “বিহারে এসআইআর নিয়ে কী হয়েছে, তা বুঝতে হবে। এখন যেখানে ভোট, সেখানে হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে বা অন্য রাজ্যে ভোট হল যখন, হল না তো। ২০০৩-এ এসআইআর হয়েছিল দেশে। তখন ভুল ছিল, তাই এখন ভোটার তালিকায় থাকতে হলে বাবা-মায়ের জন্মের শংসাপত্র দেখাতে হবে। আমরা একটাও বৈধ ভোটারের নাম কাটতে দেব না।” এসআইআর-এর বিরোধিতায় ২৫ থেকে ৩১ অগস্ট দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে এসইউসি। দলের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য এ দিন বলেছেন, “এসআইআর-এর মাধ্যমে বিহারে মূলত আদিবাসী, পিছিয়ে পড়া অংশ, সংখ্যালঘু ও পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের মানুষের নাম বাদ গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে ভোটাধিকার কাড়তে চাইছে। এসআইআর করে বিজেপি ঘুরপথে এনআরসি চালু করতে চায়।” এসইউসি-র অভিযোগ, বাংলায় এসআইআর করে বিধানসভা ভোটের আগে তীব্র মেরুকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের অবশ্য বক্তব্য, “বিহারে এসআইআর হয়েছে। আর এখানে তৃণমূলের মৃত্যু-ঘণ্টা বাজছে। কারণ তৃণমূল রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি, অনুপ্রেবশকারী মুসলমান, জেহাদি, মৃত ও ভুয়ো ভোটারদের নিয়ে নির্বাচন করতে চায়।”
বিজেপি-শাসিত রাজ্যে বাংলাভাষীদের ‘হেনস্থা’র অভিযোগকে সামনে রেখে ২৮ অগস্ট রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের কাছে পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারেরা দাবিপত্র দেবে বলে জানিয়েছে এসইউসি। এর সঙ্গেই, কেন্দ্র সংসদে যে ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল (অর্থাৎ, যাতে বলা হয়েছে ‘গুরুতর’ অপরাধে ৩০ দিন কারাবাসে থাকলে পদ যাবে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রীদের) পেশ করেছে, তা-ও প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে এসইউসি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)