রাজ্য বিজেপির পরবর্তী সভাপতি কে হবেন, এই প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। এরই মধ্যে বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাক্ষাৎ ঘিরে তৈরি হল নতুন জল্পনা। দিল্লিতে শাহের বাসভবনে মঙ্গলবার তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন সুকান্ত। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালবীয়।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দুই নেতার বেশ কিছু ক্ষণ কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বালুরঘাটে বুধবার সুকান্ত এই প্রসঙ্গে অবশ্য বলেছেন, “আমরা বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করি। অভ্যন্তরীণ কথাবার্তা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বাইরে কিছু বলব না।” চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে শাহের যে বঙ্গ সফরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে, সেই কথাও জানিয়েছেন সুকান্ত।
মণ্ডল সভাপতি ঘোষণা হওয়ার পরে রাজ্য জুড়ে যে ভাবে দলীয় স্তরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল, তার প্রেক্ষিতে জেলা সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। সূত্রের খবর, এই সপ্তাহে জেলা সভাপতির তালিকা ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। তার পরেই রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা হতে পারে। বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্যে শীর্ষ নেতার নাম নিয়ে এখনও ঐকমত্যে পৌঁছনো সম্ভব না হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়াটি আটকে রয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও সম্প্রতি শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। মনে করা হচ্ছে, তিনি তাঁর পছন্দের নাম শাহের কাছে জানিয়ে এসেছেন। তবে বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, সেই নাম নিয়ে এখনও ‘ইতিবাচক’ কোনও বার্তা তিনি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছ থেকে পাননি। সঙ্ঘের তরফেও তাদের পছন্দের তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় এক রাজ্যসভার সাংসদের পাশাপাশি এক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিরও নাম রয়েছে। বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্বে থেকে যেতে পারেন সুকান্ত। একান্ত তেমনটা না হলে সুকান্ত তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে এক জনজাতি সাংসদের নাম সুপারিশ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সুকান্তের সঙ্গে শাহের এই সাক্ষাৎ গুরুত্বপুর্ণ হতে পারে বলে বিজেপি শিবিরের একাংশের মত। পাশাপাশি, বাংলায় বিজেপির কাজকর্মে আগের মতোই নজর রাখতে পারেন শাহ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)