Advertisement
E-Paper

প্রাথমিকের শূন্যপদে নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের পুরনো নির্দেশই বহাল! পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করল শীর্ষ আদালত

শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ৩৯২৯ শূন্যপদে নিয়োগ হবে পুরনো নির্দেশ মেনেই। ২০২২ সালের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় সঙ্গে যুক্ত হবে ওই শূন্যপদগুলি।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৫ ১৬:২৪
Supreme Court dismisses petition seeking review of verdict on primary vacancy appointment

প্রাথমিকের শূন্যপদে নিয়োগ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আগের রায়ই বহাল থাকবে। ৩৯২৯ শূন্যপদে নিয়োগ হবে পুরনো নির্দেশ মেনেই। ২০২২ সালের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় সঙ্গে যুক্ত হবে ওই শূন্যপদগুলি।

২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে দুই দফায় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। ২০১৬ এবং ২০২০ সালে। রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, ১৬ হাজার ৫০০ পদে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু ২০২০ সালে নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষে দেখা যায়, ৩৯২৯টি পদে তখনও নিয়োগ বাকি থেকে গিয়েছে। সেই নিয়োগ নিয়েই জটিলতা সৃষ্টি হয়। বিষয়টি গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টে। তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পদগুলিতে মামলাকারীদের মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণেরা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ২০২০ সালের নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে নতুন নিয়োগের জন্য নতুন করে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। সেখানে শুধু ২০১৪ সাল নয়, ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদেরও সুযোগ দেওয়া উচিত। সেই মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ওই শূন্যপদগুলির দাবিদার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণেরাই। সেখানে ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা সুযোগ পাবে না!

কেন ৩৯২৯টি পদের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় তাঁদের সুযোগ থাকবে না, সেই প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণেরা। ২০২৪ সালের মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলার রায়ে জানায়, ভবিষ্যতের শূন্যপদের সঙ্গে ওই ৩৯২৯ পদটি যুক্ত করে দেওয়া হবে। সেখানে আবেদন করতে পারবেন টেট উত্তীর্ণরা। অর্থাৎ সকলের জন্য নিয়োগপ্রক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার দরজা খুলে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। যদিও সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছিল। ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের বক্তব্য ছিল, হাই কোর্টের রায়ই বহাল করা হোক। মঙ্গলবার বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চ সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। জানায়, সুপ্রিম কোর্টের পুরনো নির্দেশই বহাল থাকবে।

Primary Recruitment Case Supreme Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy