Advertisement
E-Paper

ওবিসি শংসাপত্রের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট, রাজ্যে ভর্তি প্রক্রিয়ায় কাটল জট

রাজ্যের ওবিসি সার্টিফিকেট সংক্রান্ত সব বিজ্ঞপ্তির উপর সম্প্রতি স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সোমবার হাই কোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৫ ১১:৫৭

—প্রতীকী চিত্র।

অন্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) শংসাপত্রের বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের ওবিসি সার্টিফিকেট সংক্রান্ত সব বিজ্ঞপ্তির উপর সম্প্রতি স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। হাই কোর্টের ওই নির্দেশের উপর সোমবার স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি বিআর গবইয়ের বেঞ্চ।

গত জুন মাসে হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ ওই বিজ্ঞপ্তির উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত ওই স্থগিতাদেশ জারি করেছিল আদালত। পরে ওই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও বৃদ্ধি করে অগস্ট মাস পর্যন্ত করা হয়। আগামী ৫ অগস্ট হাই কোর্টে এই মামলার শুনানির কথা রয়েছে। সেই দিনই পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানোর কথা আদালতের।

হাই কোর্টের ওই নির্দেশের ফলে কলেজে পড়ুয়াদের ভর্তির ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল অনেকের মনে। যদিও আদালত আগেই স্পষ্ট করেছে যে, এমন কোনও প্রতিবন্ধকতা নেই। তবে হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচাররপতি গবই, বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রন এবং বিচারপতি এনভি অঞ্জরিয়ার বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়।

সুপ্রিম কোর্টে গত সপ্তাহে এই মামলার শুনানির কথা থাকলেও প্রধান বিচারপতির এজলাস না বসায় ওই সময়ে শুনানি হয়নি। সোমবার মামলাটি শুনানির জন্য উঠতেই হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ জারির সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি গবই বলেন, “আমরা এ বিষয়ে নোটিস জারি করব। এটা আশ্চর্যজনক! হাই কোর্ট কী ভাবে এমন করে স্থগিতাদেশ দিতে পারে? আমরা ভেবে অবাক হচ্ছি যে, কোন যুক্তিতে হাই কোর্ট এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে!”

প্রধান বিচারপতি আরও জানান, সংরক্ষণ তো কার্যনির্বাহী (এক্সিকিউটিভ) বা প্রশাসনিক বিভাগের কাজের অংশ। এ বিষয়ে অতীতের একটি মামলার রায়ের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। প্রধান বিচারপতি জানান, ইন্দিরা সাহনী মামলার রায় থেকে স্পষ্ট যে প্রশাসন এই কাজ করতে পারে। সংরক্ষণের জন্য কার্যনির্বাহী বা প্রশাসনের নির্দেশই যথেষ্ট, এর জন্য আলাদা করে কোনও আইন তৈরির প্রয়োজন নেই।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ মৌখিক ভাবে জানিয়েছে, হাই কোর্টের নির্দেশকে ‘প্রাথমিক ভাবে ভুল’ বলে মনে করা হচ্ছে। এ কথা জানিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি গবইয়ের মতে, বিজ্ঞপ্তির ক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। সেটি সঠিক হতেও পারে, না-ও হতে পারে। তিনি বলেন, “এ বিষয়ে হাই কোর্ট চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তবে বিতর্কিত এই নির্দেশের উপর আপাতত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি থাকবে।”

শীর্ষ আদালতের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওবিসি নীতির নৈতিক জয় হিসাবে ব্যাখ্যা করছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সমাজমাধ্যমে ব্রাত্য লিখেছেন, উচ্চশিক্ষা দফতর আগে থেকেই এটি অনুমান করেছিল এবং সেই মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে।

Supreme Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy