Advertisement
E-Paper

এসএসসি-র নিয়োগপ্রক্রিয়ায় আবেদনের সময় আরও ১০ দিন বাড়িয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট, পিছিয়ে যেতে পারে পরীক্ষাও

নতুন নিয়োগবিধিতে বলা হয়েছে, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ নম্বর যাঁরা পেয়েছেন, তাঁরাই নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় যোগ দিতে পারবেন। এর বিরুদ্ধে ‘যোগ্য’দের একাংশ আদালতে গিয়েছিলেন।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৫ ২১:০০
এসএসসি-র ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের আবেদনে সাড়া দিল সুপ্রিম কোর্ট।

এসএসসি-র ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের আবেদনে সাড়া দিল সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগপ্রক্রিয়ায় আবেদনের সময়সীমা আরও ১০ দিন বাড়িয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে প্রয়োজনে নিয়োগপ্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে। আদালত জানিয়েছে, ‘দাগি’ (টেন্টেড) নয় এমন যে সমস্ত শিক্ষক বর্তমানে স্কুলে যাচ্ছেন এবং ২০১৬ সালের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়াতেও যোগ দিতে পারবেন। কমিশন নতুন যে নিয়োগবিধি চালু করেছে, তাতে সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ নম্বরের সীমা এই শিক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

নতুন নিয়োগবিধিতে বেশ কিছু নতুন নিয়ম এনেছে এসএসসি। বলা হয়েছে, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ নম্বর যাঁরা পেয়েছেন, তাঁরাই নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় যোগ দিতে পারবেন। কিন্তু ২০১৬ সালের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় এই নিয়ম ছিল না। ফলে ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের একাংশ এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়েছিল। আদালত জানিয়েছে, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেই ‘যোগ্য’ শিক্ষকেরা নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন। নতুন নিয়োগবিধির ৫০ শতাংশ নম্বরের নিয়ম তাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। এই শিক্ষকেরা অনেকেই জটিলতার কারণে এখনও নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় আবেদন জানাতে পারেননি। আবেদনের শেষ তারিখ পেরিয়ে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আদালত জানায়, আরও ১০ দিন সময় বাড়িয়ে দেওয়া হল। তার মধ্যে সকলকে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন জানাতে হবে।

শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, চলতি বছরের মধ্যেই নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু যে হেতু আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি করতে হয়েছে, তাই প্রয়োজনে পরীক্ষাও পিছিয়ে দিতে পারে কমিশন, জানিয়েছে আদালত। নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রয়োজনে আরও কিছুটা সময় তারা নিতে পারে।

উল্লেখ্য, দুর্নীতির অভিযোগে এসএসসি-র ২০১৬ সালের নিয়োগের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাতে চাকরি গিয়েছে ২৫,৭৩৫ জনের। আদালত জানিয়েছিল, সঠিক তথ্য না থাকায় যোগ্য এবং অযোগ্যদের পৃথক করা সম্ভব হয়নি। তাই পুরো প্যানেল বাতিল করতে হয়েছে। নতুন করে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে বলা হয় কমিশনকে। ‘দাগি’ হিসাবে যাঁদের চিহ্নিত করা গিয়েছে, তাঁদের বেতন ফেরত দিতে হবে। এর পর প্রায় এক মাসের মাথায় এসএসসি এবং রাজ্য রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি (রিভিউ পিটিশন) জানায় সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু সে সব খারিজ হয়ে গিয়েছে।

Bengal SSC Recruitment Case Supreme Court SSC Exam West Bengal SSC Scam
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy