অমর্ত্য সেন। —ফাইল চিত্র।
অমর্ত্য সেনকে তাঁর বোলপুরের বাড়ি থেকে উচ্ছেদের নোটিস পাঠিয়েছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বুধবার এই জমি সংক্রান্ত মামলায় সিউড়ি আদালত বিশ্বভারতীর উচ্ছেদ সংক্রান্ত নোটিসে স্থগিতাদেশ জারি করল। এর পাশাপাশি কোন কোন নথির ভিত্তিতে উচ্ছেদের নোটিস জারি করা হয়েছিল, তা-ও জানতে চেয়েছে আদালত। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর আবার এই মামলার শুনানি হবে। ওই দিন যাবতীয় নথি হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। অমর্ত্যের আইনজীবী এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে।
বিশ্বভারতী এবং অমর্ত্যের মধ্যে জমি মামলা এখন বীরভূমের সিউড়ি আদালতে বিচারাধীন। এর আগে অমর্ত্যের বিরুদ্ধে ‘অপমানজনক’ মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি নোবেলজয়ীর নাম না করে তাঁকে ‘দখলদার’, ‘দোষী’, ‘অপরাধী’ বলে মন্তব্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সমালোচনায় সরব হন বিশ্বভারতীর আশ্রমিক থেকে শুরু করে প্রাক্তনী ও শিক্ষকদের একাংশ। আগেও অমর্ত্যকে ‘হেনস্থা’র নিন্দায় রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছেন দেশ-বিদেশের বহু বিশিষ্ট মানুষ। এর আগে জমি বিতর্কে তাঁরা যে একচুলও সরবেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিছু দিন আগেই অমর্ত্যের সমর্থনে ফেসবুক পোস্ট করায় বিশ্বভারতীর পল্লিশিক্ষা ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র তথা এসএফআইয়ের সদস্য সোমনাথ সৌকে সাসপেন্ড করলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই পড়ুয়াকে শো-কজও করা হয়।
বিশ্বভারতীর আশ্রমিক, প্রাক্তনীদের একাংশের দাবি, বর্তমান উপাচার্য ‘বিজেপি-ঘেঁষা’ বলেই পরিচিত। বিশ্বভারতীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিজেপিকে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। উল্টো দিকে, অমর্ত্য পরিচিত কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিভিন্ন নীতির ‘সমালোচক’ হিসাবে। নোবেলজয়ীকে ‘উচ্ছেদের চেষ্টা’র পিছনে সেই বিষয়টিও একটি বড় কারণ বলে মনে করেন বিশ্বভারতীর অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy