স্বাস্থ্যসাথী স্মার্টকার্ডের নমুনা দেখাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: দীপঙ্কর দে
আয়ুষ্মানের পাল্টা স্বাস্থ্যসাথী। চিঠির পাল্টা চিঠিই।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, রাজ্যের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের উপভোক্তাদের কাছে এ বার পৌঁছবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সই করা চিঠি। এ জন্য তড়িঘড়ি বরাদ্দ হয়েছে প্রায় তিন কোটি টাকা। সম্প্রতি স্বাস্থ্য ভবন থেকে জেলাগুলিকে এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ পেয়েই চিঠি বিলির কাজ শুরু হয়েছে।
চিঠি বিলি ঘিরেই ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব তীব্র হয়। এই প্রকল্পে উপভোক্তাদের বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি সম্বলিত ‘এনটাইটেলমেন্ট লেটার’ পৌঁছতে শুরু করেছিল। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে এই প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার হুগলির তারকেশ্বরে প্রশাসনিক জনসভাতেও মমতা বলেন, ‘‘কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্প বাতিল। আমাদের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে সাড়ে সাত কোটি মানুষ বিনা পয়সায় চিকিৎসা
পাবেন। এ জন্য অতিরিক্ত ৯২৫ কোটি টাকা লাগবে।’’ স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের স্মার্ট কার্ডের নমুনা দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান কারা এই সুযোগ পাবেন, কোন কোন রোগে কত টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার খরচ মিলবে। স্বাস্থ্যসাথী যে আসলে মহিলাদের ক্ষমতায়ন তা ব্যাখ্যা করে মমতা বলেন, ‘‘বাড়ির মহিলার নামে এই প্রকল্পের স্মার্ট কার্ড তৈরি হবে। আপনাদের বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্যসাথীর চিঠি যাবে। মহিলা নিজের পাশাপাশি বাড়ির সকলের, শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে নিজের বাবা-মায়েরও বিনা পয়সায় চিকিৎসা করাতে পারবেন।’’
আরও পড়ুন: সুইসাইড নোটে মুখ্যমন্ত্রীর নাম, আইপিএস মৃত্যুতে সিবিআই তদন্ত দাবি বিজেপির
শিক্ষাবর্ষের গোড়ায় শুভেচ্ছা জানিয়ে ইতিমধ্যে ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর লোকসভা ভোটের আগে স্বাস্থ্যসাথীর চিঠি পাবেন উপভোক্তারা। স্বাস্থ্যভবনের এক কর্তা বলেন, ‘‘চিঠিতে অভিনন্দন জানিয়ে কারা কারা এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত এবং চিঠি দিতে তিন কোটি সুবিধা পাচ্ছেন তার উল্লেখ থাকবে। প্রায় দেড় কোটি উপভোক্তাকে এই চিঠি পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।” স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, চিঠিতে থাকবে বিশ্ববাংলার লোগোও। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক পি মোহনগাঁধী বলেন, ‘‘জেলায় স্বাস্থ্যসাথীর এই চিঠি বিলির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: এ রাজ্যের নেতার ৩৪৫ কোটির তদন্তে আয়কর দফতর
চিঠি বিলি নিয়ে বিঁধতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘‘একটা প্রকল্পের প্রচারে চিঠি দিতেই তিন কোটি! এরপর তো ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুনও আছে। টাকা খরচে যে ওঁর কোনও আপত্তি নেই তার প্রমাণ তিন কোটিতেই দিলেন। আপত্তি শুধু মোদীজির মুখে।’’
ভোট আসছে। গরিবের স্বাস্থ্যরক্ষায় কেন্দ্র-রাজ্য উভয়ই উদ্বিগ্ন। তার আগে পত্রযুদ্ধে মুখোমুখি দু’পক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy