Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সব্যসাচীর এলাকায় ‘দিদিকে বলো’য় তাপস

সেই জায়গায় ওই পুরসভারই প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়কে ‘দিদিকে বলো’ জনসংযোগের দায়িত্ব দিল তৃণমূল। 

তাপস চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

তাপস চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৯ ০১:২৬
Share: Save:

তিনি এখনও তৃণমূলের বিধায়ক, কাউন্সিলর। কিন্তু নেত্রীর দেওয়া ‘হোমটাস্ক’ করতে নারাজ রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। তাঁর এলাকায় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে ‘না’ বলে দিয়েছেন বিধাননগররে প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী। সেই জায়গায় ওই পুরসভারই প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়কে ‘দিদিকে বলো’ জনসংযোগের দায়িত্ব দিল তৃণমূল।

এরই মধ্যে শুক্রবার দিল্লি পৌঁছেছেন সব্যসাচী। গেরুয়া শিবিরে তিনি যোগ দিতে পারেন বলে অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন চলছে। দু’দিন আগে শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে সব্যসাচীকে নিয়ে জল্পনার মাত্রা বেড়েছে। যদিও সব্যসাচীর দাবি, ‘‘নিজস্ব ব্যবসার কাজে আমি দিল্লি এসেছি।’’ তিনি বিজেপির কারও সঙ্গে এই সফরে দেখা করতে পারেন এই জল্পনা প্রসঙ্গে সব্যসাচী বলেন, ‘‘কে কী ভাববেন, জল্পনা করবেন, তা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।’’ কতদিন দিল্লিতে তিনি থাকবেন, তা নিয়েও জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এটাও আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার।’’

মেয়র পদে ইস্তফা দেওয়ার পরে সব্যসাচী বলেন, ‘‘প্রতি মুহূর্তে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই কাজ করি আমি। ফলে দিদিকে বলো কর্মসূচির আমার প্রয়োজন নেই।’’ রাজরহাট-নিউটাউনে জনসংযোগ শুরুর আগে এ দিন তাপসবাবু সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন,‘‘দল আমাকে দিদিকে বলো-র দায়িত্ব দিয়েছে। শনিবার থেকেই প্রচারে যাব।’’ প্রথমে রাজারহাট-বিষ্ণুপুর এলাকায় একটি গ্রামে পাঁচ জনের সঙ্গে তিনি দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন। বিধায়ক থাকতে কেন তাপসবাবুকে আলাদা করে দায়িত্ব দেওয়া হল? তাপসবাবুর বক্তব্য, ‘‘দল যাঁকে মনে করবে তাঁকেই দায়িত্ব দেবে। দলের নির্দেশ অনুসারেই দায়িত্ব পালন করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tapas Chatterjee Sabyasachi Dutta TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE