E-Paper

বাংলাদেশে পালাতে চেয়েছিল তৌসিফ

বিহার পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার পটনা থেকে এসে মধ্য কলকাতার একটি পানশালা ঘুরে পার্ক সার্কাসের হোটেলে ছিল তৌসিফেরা। শুক্রবার নিশু তার বান্ধবীকে দিয়ে আনন্দপুরে অনলাইন সংস্থার মাধ্যমে ঘর ‘বুক’ করিয়েছিল। তবে সেখানে ঘর পাওয়া নিয়ে গোলমাল হয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৫ ০৭:২০
পটনায় হাসপাতালে ঢুকে গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্তরা।

পটনায় হাসপাতালে ঢুকে গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্তরা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

পটনা থেকে পালিয়ে কলকাতায় এসেছিল চন্দন মিশ্র খুনের মূল অভিযুক্ত তৌসিফ রাজা ওরফে বাদশার। তবে গোয়েন্দাদের দাবি, গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। শনিবার রাতে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ আনন্দপুরের অতিথিশালা থেকে বাদশা, তার দাদা নিশু এবং দুই সঙ্গী হর্ষ কুমার এবং ভীম কুমারকে আটক করে বিহার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সূত্রের দাবি, জেরায় বাংলাদেশে পালানোর কথা স্বীকার করেছে বাদশা। সে ভেবেছিল, কলকাতায় গা-ঢাকা দিলে পুলিশ তার সন্ধানও পাবে না।

বিহার পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার পটনা থেকে এসে মধ্য কলকাতার একটি পানশালা ঘুরে পার্ক সার্কাসের হোটেলে ছিল তৌসিফেরা। শুক্রবার নিশু তার বান্ধবীকে দিয়ে আনন্দপুরে অনলাইন সংস্থার মাধ্যমে ঘর ‘বুক’ করিয়েছিল। তবে সেখানে ঘর পাওয়া নিয়ে গোলমাল হয়েছিল। নিশুর বান্ধবীর ঘনিষ্ঠ এক ‘প্রভাবশালী’ ব্যক্তির হস্তক্ষেপে শেষমেশ ঘরের ব্যবস্থা হয়েছিল। পুলিশের কাছে বাদশার দাবি, পুরুলিয়া জেলে বন্দি ওঙ্কার সিংহ ওরফে শেরুর নির্দেশেই সে চন্দন মিশ্রকে খুন করেছে। বিহার পুলিশের একটি দল শেরুকে জিজ্ঞাবাসাদও করেছে। বিহার পুলিশ তাকে হেফাজতে নিতে পারে বলে সূত্রের দাবি। শনিবার রাতে গ্রেফতারের পরে রবিবার আদালতের নির্দেশে বিহার পুলিশের দল বাদশা-সহ চার জনকে পটনায় নিয়ে গিয়েছে। সোমবার তাদের পটনার স্থানীয় আদালতে তোলা হলে বিচারক বাদশাকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজত এবং বাকিদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রের খবর, পটনা থেকে রাঁচী হয়ে গাড়ি চালিয়ে কলকাতায় এলেও তৌসিফের কোনও লাইসেন্স ছিল না।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

police investigation Bangladesh

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy