কাল, মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআরের কাজ। অনেক শিক্ষক বুথ লেভেল অফিসারের (বিএলও) কাজে যুক্ত হচ্ছেন। আজ, সোমবার বিকেলের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে শিক্ষকদের ডিউটির বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। সেই সঙ্গে শিক্ষকদের নিরাপত্তা কী দেওয়া হবে তা লিখিত ভাবে না-জানালে মঙ্গলবার থেকে কমিশনের দফতর ঘেরাও শুরু হবে বলে সেই শিক্ষকেরা রবিবার জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, কমিশন ডিউটির বিজ্ঞপ্তিনা-দিলে তাঁরা বিএলও-র কাজ বয়কটও করতে পারেন।
শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, এ অদ্ভুত টানাপড়েনের পরিস্থিতি। বিএলওর কাজে শিক্ষকদের যুক্ত করা হলে হাজারো পড়ুয়ার শিক্ষার অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে বলে দাবি। কারণ এক সঙ্গে স্কুলে ক্লাস নেওয়া আর বিএলওর কাজ করা কঠিন। আবার এর ফলে বেশ কিছু স্কুল কার্যত উঠে যাওয়ার দশা হবে। বিশেষ করে গুটিকয়েক শিক্ষক নিয়ে চলা প্রাথমিক স্কুলে খুবই সমস্যাহবে। বিএলওর কাজের নিরাপত্তা নিয়েও অনেক শিক্ষক, শিক্ষিকারই প্রশ্ন রয়েছে।
আপাতত ঠিক আছে, বিএলওর এই দায়িত্ব শিক্ষকদের ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সারতে হবে। এর ফলে স্কুলে পরীক্ষাও ব্যহত হতে পারে। নভেম্বরে মাধ্যমিকের টেস্ট শুরু হয়ে যাচ্ছে। ডিসেম্বরের গোড়ায় শুরু হচ্ছে প্রাথমিক থেকে শুরু করে নবম শ্রেণি পর্যন্ত তৃতীয় সামেটিভ বা তৃতীয় পর্যাক্রমিক মূল্যায়ন। শিক্ষকেরা বিএলওর কাজে চলে গেলে সেই পরীক্ষাগুলি ঠিক মতো নেওয়া সম্ভব হবে কি না প্রশ্ন উঠেছে। স্কুলে পড়াশোনা কী ভাবে হবে তা নিয়ে আসলে শিক্ষা দফতর বা কমিশন, কেউই ভাবছে না বলে শিক্ষকদের একাংশের দাবি।
এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের ডিউটি নিয়ে কমিশন স্পষ্ট বিজ্ঞপ্তি না দিলে মঙ্গলবার থেকে আন্দোলন তীব্রতর হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে শিক্ষক শিক্ষাকর্মী বিএলও ডিউটি প্রতিরোধ মঞ্চ, শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চ, ভোটকর্মী ও বিএলও ঐক্যমঞ্চ এবং অল পোস্ট গ্রাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। তাঁদের দাবি, বিএলওদের সঙ্গেকেন্দ্রীয় বাহিনী বা রাজ্যের পুলিশ দিতে হবে। বিএলওর কাজ করার সময়ে কারও দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বা অঙ্গ বিকৃতি হলে ৫০ লক্ষ টাকার বিমাও দিতে হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)