প্রতীকী চিত্র
পরনে প্যান্ট। কিন্তু শিক্ষকের ঊর্ধ্বাঙ্গ সম্পূর্ণ অনাবৃত। এই ঘটনা ঘটেছে বিধাননগর সরকারি হাইস্কুলের অনলাইন ক্লাসে। এই বিষয়ে আপত্তি জানান অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বেশ কিছু অভিভাবক। তার পরে স্কুল-কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্দেশ দিয়েছেন, অনলাইনে ক্লাস চলাকালীন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ‘ফর্মাল’ বা শালীন পোশাক পরে থাকতে হবে।
যাঁকে নিয়ে এই আপত্তি-অভিযোগ, তিনি ইতিহাসের শিক্ষক। গত বছর রাজ্য সরকারের শিক্ষারত্ন সম্মান পেয়েছেন। অতিমারির জন্য প্রায় সব স্কুলেই এখন অনলাইনে ক্লাস হয়। বিধাননগর সরকারি হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা কয়েক দিন আগে খেয়াল করেন, অনলাইন ক্লাসে ইতিহাসের শিক্ষকের গায়ে কোনও জামা নেই। শিক্ষা সূত্রের খবর, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে আপত্তি জানান। এ ব্যাপারে এক অভিভাবক ফোনে অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষকের কাছে। তার কয়েক দিন পরে স্কুল-কর্তৃপক্ষের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তাতে লেখা হয়েছে, যখন গুগ্ল মিট বা কোনও অডিয়ো-ভিজ়ুয়াল মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকারা ক্লাস নেবেন, তাঁরা যেন যথাযথ পোশাক পরে এবং যথাযথ পরিবেশের মধ্য থেকে ক্লাস নেন। এবং সেই ক্লাস যেন অবশ্যই বিষয়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হয়। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ক্লাস নিলে যে-মেসেজ পাঠানো হবে, তা-ও যেন বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়। প্রধান শিক্ষক ওই সব ক্লাসে অনলাইনে ঢুকতে পারেন।
বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার প্রশ্ন করা হলে বিধাননগর সরকারি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রিয়াজ আহমেদ অবশ্য জানান, ওই শিক্ষক অনিচ্ছাকৃত ভাবে হয়তো ওই কাজ করে ফেলেছেন। পরে উনি দুঃখ প্রকাশও করেছেন। "এই ধরনের নোটিস আমরা মাঝেমধ্যেই দিয়ে থাকি। আগেও যেমন বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি, সন্ধ্যা ৭টার পরে ক্লাস নেওয়া যাবে না," বলেন প্রধান শিক্ষক। স্কুলের একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা জানাচ্ছেন, এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি আগে কখনওই দেওয়া হয়নি। খালি গায়ে ক্লাস নেওয়ার ঘটনা ঘটার পরেই শিক্ষক-শিক্ষিকারা বার বার আপত্তি জানান। তার পরে এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy