হাজিরা এড়ালে গ্রেফতারি, হুঁশিয়ারি ছিল পুলিশের। তবে তার পরেও তলবে সাড়া দিলেন না চাকরিহারা তিন শিক্ষক। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, আইনি পরামর্শ নিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন তাঁরা।
বিকাশ ভবনের সামনে গত বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারী শিক্ষক এবং পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে চাকরিহারাদের উপর লাঠি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। তবে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধেও পাল্টা অভিযোগ ওঠে। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, ভাঙচুর, সরকারি কর্মীদের কাজে বাধাদান-সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়। বিধাননগর উত্তর থানায় সেই মর্মে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই কয়েক জনকে চিঠি পাঠিয়ে তলব করেছিল পুলিশ। এ-ও বলা হয়েছিল, হাজিরা না দিলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-র নির্দিষ্ট ধারায় গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু তার পরেও হাজিরা দিলেন না তিন চাকরিহারা।
সোমবার হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও কেন গেলেন না চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষক? চাকরিহারাদের পক্ষে সঙ্গীতা সাহা বলেন, ‘‘আমরা আইনি পরামর্শ নিয়েছি। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেই করা হবে।’’
আরও পড়ুন:
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিক্ষোভে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় বিকাশ ভবনের সামনে। শিক্ষকেরা দাবি করেন, তাঁরা নতুন করে পরীক্ষায় বসবেন না। তাঁদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যত ক্ষণ না এসে তাঁদের আশ্বস্ত করছেন, তত ক্ষণ বিকাশ ভবনের বাইরে অবস্থান চলবে। রাতে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। সে কথা শুক্রবার মেনে নেয় পুলিশ। কেন লাঠিচার্জ করা হয়, শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে তার ব্যাখ্যা দেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম। সুপ্রতিম বলেন, ‘‘পুলিশ প্রথম থেকেই সংযত ছিল। সাত ঘণ্টা পুলিশ আন্দোলনকারীদের কিছু বলেনি। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার অধিকার সকলের রয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা নষ্ট হলে পুলিশকে পদক্ষেপ করতেই হয়। তবে পুলিশ অনেক ধৈর্য ধরেছিল।’’ বিকাশভবনের সামনে আন্দোলনকারী এবং পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনায় শুক্রবার বিধাননগর নর্থ থানায় মামলা দায়ের হয়।