Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
SSC

SSC: স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ: ৩টের মধ্যে চাই সব নথি, কমিশনকে ভর্ৎসনা হাই কোর্টের

স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগে বেনজির অনিয়মে ‘বিস্মিত’ হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট।

স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগে বেনজির অনিয়মে ‘বিস্মিত’ হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আজ, বুধবার ৩টের মধ্যে সব তথ্য আদালতে দিতে হবে। কোনও সময় দেওয়া হবে না।’’

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২১ ১১:২৯
Share: Save:

স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগে বেনজির অনিয়মে ‘বিস্মিত’ হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার মামলা উঠতে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ভর্ৎসনা করল আদালত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আজ, বুধবার ৩টের মধ্যে সব তথ্য আদালতে দিতে হবে। কোনও সময় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে সিআইসিএফ, আইবি, সিবিআই ঘিরে থাকবে অফিস। সব তথ্য খতিয়ে দেখা হবে। এর পিছনে কে রয়েছে? কেন নিয়োগ করা হয়েছে? কোন পদ্ধতিতে তার মেমো নম্বর জানানো হোক।’’ এর পরই তিনি বলেন, ‘‘কমিশনের কোনও কর্মীকে বাইরে যেতে দেব না। সিবিআই পাঠিয়ে সমস্ত কম্পিউটারের সব তথ্য খতিয়ে দেখা হবে। এই সময়ের মধ্যে আঞ্চলিক অফিসের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা যাবে না। আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোনও কম্পিউটার অপারেট করা যাবে না।’’ নর্দান আঞ্চলিক অফিস ওই নিয়োগ করেছিল। আদালতে জানালেন কমিশনের সচিব।

নিয়োগে দুর্নীতি প্রমাণিত হলে সিবিআই-এর হাতে তদন্ত যেতে পারে বলে মঙ্গলবারই হুঁশিয়ারি দেয় আদালত। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় স্কুল সার্ভিস কমিশনের সচিবকেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তলব করেছিল আদালত। মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে এসএসসি-র সচিবকে আদালতে আসতে হবে। ওই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে কি না তিনি তার ব্যাখ্যা দেবেন।

বুধবার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের মতামতও জানতে চায় আদালত। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, বিষয়টি তদন্ত করতে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করবে রাজ্য। প্রসঙ্গত এই অনিয়মের তদন্ত করতে আবেদনকারীরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিল। রাজ্য সরকারের তরফে কার্যত তার বিরোধিতা করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে চতুর্থ শ্রেণিতে প্রায় ১৩ হাজার নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে রাজ্য। সেই মতো পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ নেয় এসএসসি। তার পর সেখান থেকে তারা একটি প্যানেল তৈরি করে। ২০১৯ সালে ওই প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। অভিযোগ, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নিয়মবহির্ভূত ভাবে প্রচুর নিয়োগ করেছে কমিশন। আবার কমিশনের আঞ্চলিক অফিসের ক্ষেত্রেই এমন অভিযোগ ওঠেছে। এখন তার মধ্যে ২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশ তুলে ধরে মামলা করা হয় হাই কোর্টে। মঙ্গলবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে। ওই নিয়োগের সুপারিশে গন্ডগোল রয়েছে প্রাথমিক ভাবে এমনটা মনে করছিলেন বিচারপতি। কমিশনের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘যথেষ্ট হয়েছে। আঞ্চলিক অফিসের উপর নিয়ন্ত্রণ নেই কমিশনের তা বোঝাই যাচ্ছে। তথ্যও সে কথা বলছে। কীভাবে এমন কমিশন চলতে পারে!’’ বুধবার তিনি বলেন, ‘‘আমি চাই না আরও একটা ব্যপম-কাণ্ড হোক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE