Advertisement
১৭ মে ২০২৪
Teacher Recruitment Case

ঝুলেই রইল প্রাথমিকের ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ মামলা, মেধাতালিকা প্রকাশে ‘না’ সুপ্রিম কোর্টের

প্রশিক্ষণরত ডিএলএড এবং ওই কোর্সের প্রথম বর্ষের উত্তীর্ণরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে বলে প্রথমে জানায় পর্ষদ। তাদের ওই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

The hearing of the primary recruitment case was postponed in the Supreme Court.

২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ছাড়পত্র পেল না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৩০
Share: Save:

ঝুলেই রইল প্রাথমিকের চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়া। ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ছাড়পত্র পেল না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানি আবার পিছিয়ে গেল শীর্ষ আদালতে। ফলে বহাল থাকল আদালতের আগের নির্দেশ। পূর্ব নির্দেশ মতো এখনই কোনও মেধাতালিকা প্রকাশ করতে পারবে না পর্ষদ। শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, আগামী ২২ জানুয়ারি ওই মামলার পরবর্তী শুনানি।

গত বছর প্রাথমিকে প্রায় ১১ হাজার শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের কথা জানায় রাজ্য। সেই মতো নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে পর্ষদ। গত বছর সেপ্টেম্বরে তারা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, টেট উত্তীর্ণ ২০২০-২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রশিক্ষণরত ডিএলএড প্রার্থীরা এবং ওই কোর্সের প্রথম বর্ষের উত্তীর্ণরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। পর্ষদের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। তখন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেন। পরে হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ পর্ষদের ওই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেয়। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, প্রশিক্ষণরত প্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। শিক্ষক হতে গেলে প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করতে হবে। পরে অবশ্য দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ ডিএলএড প্রশিক্ষণ শেষ করা প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়ার কথা জানায়।

সৌমেন পাল-সহ মূল মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের যুক্তি, পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক ওই কোর্সের ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষ শেষ হচ্ছে জুন মাসে। আর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে নভেম্বর মাস থেকে। ফলে ডিএলএড প্রশিক্ষণরতদের সুযোগ দেওয়া উচিত। ওই মামলায় গত বছর ২৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ জানায়, আদালতের নির্দেশ ছাড়া ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মেধাতালিকা প্রকাশ করতে পারবে না পর্ষদ। তার পর থেকে মামলাটির শুনানি একাধিক বার পিছিয়ে গিয়েছে। শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, আগামী ২২ জানুয়ারি মামলাটি আবার শুনানির জন্য উঠবে। সে দিন নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর থেকে জট কাটে কি না সে দিকে তাকিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Supreme Court Bengal Teacher Recruitment Case
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE