মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
সোমবার রাজ্যের বেশ কিছু পুরসভার চেয়ারম্যান ও আধিকারিকদের নিয়ে নবান্নে বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে ব্যতিক্রমী ভাবে হাওড়া পুরসভার তরফে ডাকা হয়েছে ওই এলাকার পাঁচ জন বিধায়ককেও। নবান্ন সূত্রে খবর, যে হেতু হাওড়ায় নির্বাচিত পুরবোর্ড নেই, তাই নির্বাচিত বিধায়কদের ডেকেই পুর এলাকার কাজ ত্বরান্বিত করতে চাইছে রাজ্য।
২০১৮ সালে হাওড়া পুরসভার নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ২০১৩ সালে শেষ বার পুরভোট হয়েছিল হাওড়ায়। পরে বালি পুরসভাকে ২০১৬ সালে হাওড়া পুরসভার সঙ্গে যুক্ত করে পুর নির্বাচন হয়েছিল। পরে আবারও বালি পুরসভাকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিল পাশ হয়েছে বিধানসভায়। কিন্তু সেই বিলে রাজ্যপাল অনুমোদন না দেওয়ায় নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর দুই ক্ষেত্রেই প্রশাসক বসিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। অভিযোগ, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকায় ব্যাপক ভাবে ধাক্কা খাচ্ছে পরিষেবা। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোটে হাওড়ায় বিরোধীদের প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার ছিল পুর পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি। শেষমেশ হাওড়া লোকসভায় তৃণমূল জিতলেও আগামী দিনে এই পরিস্থিতির বদল চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই সোমবারে নবান্নের বৈঠকে হাওড়ার বিধায়কদের ডাকা হয়েছে।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী তথা হাওড়া মধ্য বিধানসভার বিধায়ক অরূপ রায়, যুব কল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা শিবপুরের বিধায়ক মনোজ তিওয়ারি, হাওড়া উত্তরের বিধায়ক গৌতম চৌধুরী, বালির বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায় এবং হাওড়া দক্ষিণের বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরীকে ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। থাকবেন হাওড়া পুরসভার প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তীও। এই বৈঠকে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয় কি না, সে দিকেই তাকিয়ে হাওড়া পুরসভা এলাকার সাধারণ মানুষ।
অন্য দিকে, বৈঠকের দু’দিন আগে পানিহাটি পুরসভার এগ্জ়িকিউটিভ অফিসার পদত্যাগ করায় জটিলতা তৈরি হয়েছিল। গত শুক্রবার আধিকারিক অসীমকুমার বিশ্বাস পদত্যাগপত্র পাঠান পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে। কিন্তু পানিহাটির বর্ষীয়ান বিধায়ক নির্মল ঘোষ জানিয়েছেন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটে গিয়েছে, তাই নবান্নের বৈঠকে যোগদান করবেন পুরসভার এগ্জ়িকিউটিভ অফিসার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy