ভবানীপুর উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইছেন না যুব কংগ্রেস সভাপতি সাদাব খান। নিজস্ব চিত্র।
ভবানীপুরে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী ধরে নিয়েই প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। বিরোধী বিজেপি এখনও প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করতে পারেনি। আর সংযুক্ত মোর্চার জোটে যে পরিমাণ জট রয়েছে, তাতে কে প্রার্থী দেবে, তা নিয়েই রয়েছে বড়সড় প্রশ্ন। এমন পরিস্থিতিতেই পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভাপতি সাদাব খান ফের ভবানীপুরে প্রার্থী হতে নারাজ বলে জানিয়েছেন। বিধানসভা ভোটে যুব সভাপতিকে ভবানীপুরে টিকিট দিয়েছিল কংগ্রেস। ফলাফলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয় তাঁর। বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের প্রার্থী হিসেবে সাদাব পেয়েছিলেন মাত্র ৫,২১১ ভোট। মোট প্রদত্ত ভোটের ৪.১ শতাংশ পেয়েছিলেন তিনি।
এ বার আর ওই আসনে প্রার্থী হতে চাইছেন না এই যুবনেতা। সাদাব বলেন, ‘‘উপনির্বাচনে আর আমি প্রার্থী হতে চাই না।’’ তিনি আরও বলছেন, ‘‘এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত মত। দল যদি আমাকে দাঁড় করাতে চায়, তখন পরিস্থিতি অন্য রকম হবে। কিন্তু এ বারের ভোটে আর ভবানীপুরে দাঁড়াতে চাই না।’’ ব্যক্তিগত ভাবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ভবানীপুর উপনির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু বিধান ভবনের একাংশ চায়, ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়ে নিজেদের বিরোধী অবস্থান বজায় রাখুক কংগ্রেস। শনিবার কলকাতায় এসে এআইসিসি নেতা সলমন খুরশিদ আবার বলে গিয়েছেন, ‘‘এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সনিয়া গাঁধী।’’ যুব কংগ্রেস নেতৃত্ব সূত্রে খবর, প্রথমত, বিধানসভা ভোটে শোচনীয় পরাজয় এবং দ্বিতীয়ত, কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ সমীকরণে প্রার্থী দেওয়া নিয়েই মতানৈক্য রয়েছে। এই বিষয়গুলি মাথায় রেখেই প্রার্থী হতে চাইছেন না কংগ্রেসের যুব সংগঠনের সভাপতি।
আবার মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ আসনটি নিয়েও বিপাকে পড়েছে কংগ্রেস। জোট আলোচনায় সামসেরগঞ্জ আসনটি সিপিএম-কে ছাড়তে চাননি অধীর। সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ মোদাস্সর হোসেন প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও, সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন জইদুর রহমান। তিনি আবার সম্পর্কে জঙ্গিপুরের তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমানের ভাই। জইদুর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করলেও, ভোটে লড়বেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এমতাবস্থায় সোমবার বিধান ভবনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আসবেন বলে জানা গিয়েছে। ওই দিনই প্রার্থী দেওয়া নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy