জাকির হোসেনের কারখানা এবং দফতর থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার বান্ডিল। ছবি সংগৃহীত।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়িতে ‘টাকার পাহাড়’-এর খোঁজ পেয়েছে আয়কর দফতর। এ বার প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়ি থেকে পাওয়া বান্ডিল বান্ডিল সেই নোটের ছবি। বুধবার আয়কর বিভাগের আধিকারিকেরা হানা দিয়েছিলেন জাকিরের বাড়িতে। আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জাকিরের বিড়ি কারখানা, গোডাউন এবং দফতর থেকে পাওয়া গিয়েছে ১৫ কোটি টাকা। জাকির অবশ্য জানিয়েছেন, গত ২৩ বছর ধরে তিনি আয়কর দিয়ে আসছেন।
আয়কর দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া সেই ১৫ কোটি টাকার মধ্যে কেবল মাত্র একটি জায়গা থেকে মিলেছে ৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া গোডাউনে হানা দিয়েও পাওয়া গিয়েছে ২ কোটি টাকা। বুধবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকিরের শিব বিড়ি, সামশেরগঞ্জের আনন্দ বিড়ি কারখানা এবং বিজলি বিড়ি কারখানায় হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। দফায় দফায় তল্লাশি চলে বিভিন্ন এলাকায়। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে প্রকাশ্যে আসে বান্ডিল বান্ডিল সেই নোটের ছবি।
আয়কর দফতরের হানায় টাকা উদ্ধার নিয়ে জাকিরের বক্তব্য, ‘‘আমার কাছে প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন রকমের ব্যবসা রয়েছে। কৃষিক্ষেত্রের যে ব্যবসার সঙ্গে আমি জড়িত সেখানে সমস্ত লেনদেন নগদে হয়। এর পাশাপাশি, শ্রমিকদের বেতনও নগদে দিতে হয়। সে কারণেই রাইস মিলে কিছু নগদ টাকা রাখা ছিল। ওই টাকার একটা অংশ যাঁরা আমাকে ধান বিক্রি করেছিলেন তাঁদের প্রাপ্য।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি থেকে যত টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে তার অনেকটাই মহিলাদের জমানো টাকা। এর ফলে বহু শ্রমিক এবং কৃষকদের তিনি সময়মতো প্রাপ্য মেটাতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন। এ নিয়ে তিনি আইনি পথে এগোবেন বলেও জানিয়েছেন।
এর আগে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে হানা দিয়েছিলেন এনফোর্সেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর আধিকারিকরা। দফায় দফায় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকা। সেই টাকার ছবি প্রকাশ্যে আনে ইডি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy