Advertisement
E-Paper

তারকেশ্বরে যেন বন্‌ধ

শৈবালই শুধু নয়, পুলিশের নির্দেশ মানতে গিয়ে তাঁর মতো বহু মানুষকে এ দিন হেনস্থা হতে হয়। নালিকুল থেকে বাপের বাড়ি আসার পথে আটকে পড়েছিলেন পূরবী দলুই। কোলে তিন বছরের বাচ্চা। পুলিশ বাস আটকে দিয়েছিল শহরে ঢোকার দু’কিলোমিটার আগে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৭ ০৪:২৫
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

তারকেশ্বর মহাবিদ্যা‌লয় মোড়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মাকে নিয়ে দু’ঘণ্টা বসেছিলেন শৈবাল কুণ্ডু। বাইক দুর্ঘটনায় পায়ে অনেকগুলো সেলাই পড়েছে। ক্র্যাচ নিয়ে হাঁটতে হচ্ছে। ধনেখালির চৌতারা থেকে এ দিন গাড়ি ভাড়া করে তারকেশ্বরে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের কারণে পুলিশ তাঁর গাড়ি দু’কিলোমিটার দূরে নারায়ণপুরে পাঠিয়ে দেয়। পুলিশ বলে, মুখ্যমন্ত্রী তারকেশ্বর না-ছাড়া পর্যন্ত কোনও গাড়ি শহরে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। তাই বাধ্য হয়ে ভরা গরমে গাড়ির আশায় রাস্তার পাশে বসেছিলেন শৈবা‌ল।

শৈবালই শুধু নয়, পুলিশের নির্দেশ মানতে গিয়ে তাঁর মতো বহু মানুষকে এ দিন হেনস্থা হতে হয়। নালিকুল থেকে বাপের বাড়ি আসার পথে আটকে পড়েছিলেন পূরবী দলুই। কোলে তিন বছরের বাচ্চা। পুলিশ বাস আটকে দিয়েছিল শহরে ঢোকার দু’কিলোমিটার আগে। অন্য কোনও উপায় না পেয়ে বাচ্চা কো‌লে ওই পথ হেঁটে আসতে হয়েছে পূরবীকে।

এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে নিরাপত্তার নামে তারকেশ্বর জুড়ে অলিখিত ১৪৪ ধারা জারি করেছিল পুলিশ। সকাল ৯টার পরে কোনও বাসকে শহরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বাসস্ট্যান্ড ছিল ফাঁকা। বাস ছেড়ে যে মানুষ অন্য কোনও যানবাহনে গন্তব্যে পৌঁছবে, সেই উপায়ও রাখেনি পুলিশ। সমস্ত রাস্তা ব্যারিকেড করে রেখে অলিগলিতে ঢুকিয়ে দিয়েছে গাড়িঘোড়া। ছাড় পায়নি দোকানপাটও। শহরের অধিকাংশ দোকানেরই ঝাঁপ ফেলা ছিল। দোকানিরা জানিয়েছেন, পুলিশ বলে গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী চলে গেলে দোকান খুলবেন। তাই বেচাকেনা বন্ধ করে দোকানের সামনে বসেছিলেন সুবীর কুণ্ডু। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রীর যাতায়াতের পথও জনশূন্য করে রেখেছিল‌ পুলিশ।

বিকেলের দিকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে তারকেশ্বর।

Tarakeswar Administrative Meeting তারকেশ্বর
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy