মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
রাজ্যের মধ্য শিক্ষা পর্ষদের অধীন কিছু বেসরকারি স্কুলের অনুমোদন বাতিল হতে পারে, বলে জানাল পর্ষদ। শুক্রবার পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় এ ব্যাপারে সতর্ক করেছেন ওই স্কুলগুলিকে। পর্ষদের অনুমোদন পাওয়ার জন্য এই স্কুল গুলিকের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে জানিয়ে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, এ ব্যাপারে রিপোর্ট না পেলে স্কুলগুলির অনুমোদন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবেন তাঁরা।
রাজ্যে পর্ষদের অনুমোদন প্রাপ্ত স্কুলের সংখ্যা এখন ৪৫০টি। এই স্কুলগুলিকে পর্ষদের অনুমোদন পাওয়ার জন্য কয়েকটি শর্ত মানতে হয়। যেমন এঁদের পর্ষদের কাছ থেকে বই কিনতে হয়। পঠনপাঠনের ক্ষেত্রেও পর্ষদ নির্দেশিত পাঠ্যক্রম মেনে চলতে হয়। এতদিন সেই নিয়ম মানা হচ্ছে কি না, সেব্যাপারে কোনও রিপোর্ট চায়নি পর্ষদ। তবে এ বার এই বিষয়ে কড়া হয়েছে তাঁরা। পর্ষদ সভাপতি বলেছেন, ‘‘আমরা ওয়েবসাইটে পর্ষদ অনুমোদিত বেসরকারি স্কুলগুলির নাম আপলোড করছি। তাই এই রিপোর্ট আমাদের কাছে জরুরি। তাই স্কুলগুলির কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল। ১৫টি স্কুল সেই রিপোর্ট দিয়েছে। বাকিরা দেয়নি। তা ছাড়া আমরা জানতে পারছি, অনেক স্কুলেই নিয়ম মানাও হচ্ছে না।’’
শুক্রবার ওই সমস্ত স্কুলগুলিকেই হুঁশিয়ার করে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ জানিয়ে দেন, রিপোর্ট না পেলে এই স্কুল গুলির অনুমোদন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবে পর্ষদ। একই সঙ্গে শুক্রবার এই ধরনের পর্ষদ অনুমোদিত বেসরকারি স্কুলগুলির অনুমোদন সংক্রান্ত আরও একটি নতুন তথ্য জানিয়েছেন রামানুজ। তিনি বলেন, বেসরকারি স্কুল গুলির অনুমোদন পুনর্নবীকরনের জন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিতে হয় স্কুলগুলিকে। এর আগে এর জন্য ৫০০ টাকা করে দিতে হত। এখন সেই টাকার অঙ্কও বাড়বে। পরবর্তীতে এই অনুমোদন পুনর্নবীকরণের জন্য ২০০০ টাকা এবং আরও কিছু মূল্য দিতে হবে পর্ষদের অনুমোদন প্রাপ্ত বেসরকারি স্কুলগুলিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy