চিকিৎসকদের উচ্চশিক্ষা নিয়ে সরকারি নির্দেশিকার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে ওই ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হয়েছিল এসডিএফ।
বারবার বাধা আসছিল ডাক্তারদের উচ্চশিক্ষায়। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের নির্দেশে আপাতত সেই বাধা কাটল বলে মঙ্গলবার জানান সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম (এসডিএফ)-এর সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাস।
চিকিৎসকদের উচ্চশিক্ষা নিয়ে সরকারি নির্দেশিকার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে ওই ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হয়েছিল এসডিএফ। এ দিন সেই মামলার শুনানি ছিল। সজলবাবু পরে জানান, আবেদনকারী ট্রেনি রিজার্ভ (টিআর) চিকিৎসকদের উচ্চশিক্ষায় বাধা দেওয়া যাবে না বলে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সৌমিত্র পাল ও বিচারপতি সুবেশ দাসের বেঞ্চ।
তিন বছর চাকরির পরে সরকারি চিকিৎসকেরা উচ্চশিক্ষা (এমডি, এমএস)-র সুযোগ পান। তার জন্য সর্বভারতীয় স্তরে এনইইটি-পিজি পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। এ বছর ৪৫০ জন ডাক্তার সেই পরীক্ষায় পাশ করেছেন। কিন্তু ২৮ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ২৩৭ জনকে উচ্চশিক্ষার অনুমতি দেয় স্বাস্থ্য ভবন। সেই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে চিকিৎসক সংগঠনগুলি স্মারকলিপি দেয় স্বাস্থ্য ভবনে। তাদের বক্তব্য, রাজ্যে এই মুহূর্তে বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ খালি। কিন্তু প্রতি বছর অনেক চিকিৎসক এনইইটি-পিজি পাশ করেও ট্রেনি রিজার্ভ (টিআর)-এর সুযোগ নিয়ে উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সজলবাবু বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য ভবনের বক্তব্য, এত জন চিকিৎসককে একসঙ্গে অনুমতি দিলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হবে। আমাদের বক্তব্য, এই চিকিৎসকেরা উচ্চশিক্ষা নিয়ে তিন বছর পরে যখন কাজে ফিরবেন, তখন তো উপকৃত হবে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবাই।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
স্মারকলিপিতে কাজ না-হওয়ায় এসডিএফের ১১৫ জন চিকিৎসক আদালতে যান। তাঁদের আইনজীবী কার্তিক রায় এ দিন বলেন, ‘‘১১৫ জন আবেদনকারীর উচ্চশিক্ষায় সরকার কোনও ভাবেই বাধা দিতে পারবে না বলে ট্রাইবুনালের অন্তর্বর্তিকালীন নির্দেশে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
ট্রাইবুনালের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব হেল্থ সার্ভিস ডক্টরসের সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা বলেন, ‘‘গত বছরেও একই রকম নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকার উচ্চ আদালতে যাওয়ায় সমস্যা হয়। এ বার সরকার আদালতের নির্দেশ মেনে নিলে খুশি হব। তবে আমাদের দাবি, শুধু ১১৫ জন আবেদনকারী নয়, যাঁরা এনইইটি-পিজি পরীক্ষা পাশ করেছেন, তাঁদের সকলকেই টিআর প্রথায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে হবে।’’ তৃণমূল সমর্থিত প্রোগ্রেসিভ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল মাজি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে নতুন মেডিক্যাল কলেজ ও সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল হয়েছে। সেখানে প্রচুর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রয়োজন। আদালতের পর্যবেক্ষণকে স্বাগত জানাচ্ছি। এতে রাজ্যের মানুষের স্বার্থই সুরক্ষিত হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy