১৪ তারিখে আসানসোলে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে শুভেন্দুরই একটি কর্মসূচিতে। ফাইল চিত্র।
ডিসেম্বরের ২১ তারিখ বড় কিছু হবে। এমন ঘোষণা তিনি আগেই করেছিলেন। তবে মঙ্গলবার দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানালেন, তেমন কিছু হওয়ার বিষয় নেই।
দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা ও কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতায় ফেরেন শুভেন্দু। তাঁর পুরনো ঘোষণা মতো ২১ তারিখ কিছু হচ্ছে কি? জানতে চাওয়া হলে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‘কাল বড় কিছু হওয়ার বিষয় নেই। আমরা বলেছিলাম এগুলো গুরুত্বপূর্ণ তারিখ। কখনওই বলিনি ওই তারিখে সরকার পরিবর্তন হয়ে যাবে।’’ নিজের ঘোষণা করা পুরনো দাবিগুলি স্মরণ করিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘গুরুত্বপূর্ণ তারিখেই বড় ডাকাত জেলে যাবে। সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকরা ডিএ পাবেন। কয়েক হাজার ভুয়ো শিক্ষকের চাকরি যাবে’’
শুভেন্দু আগেই ঘোষণা করেছিলেন, ১২, ১৪, ২১ ডিসেম্বর তিনটে দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেছিলেন, ‘‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ।” গত বেশ কিছু দিন ধরেই ডিসেম্বরের ওই ৩টি তারিখের দিকে নজর রাখার কথা বলে আসছিলেন তিনি। ইঙ্গিত ছিল, ওই দিনগুলিতে রাজ্যে বড় কিছু ঘটতে পারে। ঘটনাচক্রে, গত ১২ ডিসেম্বর বগটুইকাণ্ডে সিবিআই হেফাজতে থাকা লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা গোটা রাজ্যে শোরগোল পড়ে যায়। তার পর থেকেই শুভেন্দুকে ডিসেম্বরের ‘দিন ঘোষণা’ নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেন শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা। ১৪ তারিখেও আসানসোলে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে শুভেন্দুরই একটি কর্মসূচিতে।
এমন ঘটনার পরেই টুইটারে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘‘১২, ১৪ এবং ২১ তারিখে ডিসেম্বর ধামাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই মতোই ১২ ডিসেম্বর সিবিআই হেফাজত থেকে লালনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর ওঁর (শুভেন্দু) তৈরি করা বিশৃঙ্খলায় আসানসোলে তিন জনের প্রাণ গিয়েছে।’’ তৃণমূল সাংসদের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ‘‘২১ ডিসেম্বর কি আরও বড় কিছু অপেক্ষা করছে?’’ কিন্তু অভিষেকের এমন কটাক্ষের জবাব মঙ্গলবার দেননি শুভেন্দু। তবে ৩ ডিসেম্বর অভিষেক কাঁথিতে যে জনসভা করে এসেছিলেন, ২১ তারিখ বুধবার কাঁথিতেই তার পাল্টা সভা করবেন এই বিজেপি নেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy