Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Lakshmi Bhandar Project

Lakshmi Bhandar: লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে টাকা কি লক্ষ্মীমন্তদেরও!

সরকারি নির্দোশিকা অনুযায়ী, শুধু স্থায়ী সরকারি চাকরিরত এবং পেনশনভোগীরা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন না।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২১ ০৭:২১
Share: Save:

অর্থনৈতিক দিক থেকে উজ্জ্বল অবস্থান রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এ যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও প্রতিবন্ধক নয়। এটা জানিয়ে দেওয়া হলেও গৃহবধূদের আর্থিক সহায়তার এই প্রকল্পের সুবিধা কারা পাবেন এবং কারা পাবেন না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়ছে। অথচ সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেপ্টেম্বরেই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প শুরু হয়ে যাচ্ছে।

সরকারি নির্দোশিকা অনুযায়ী, শুধু স্থায়ী সরকারি চাকরিরত এবং পেনশনভোগীরা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন না। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, লক্ষ্মীর ভান্ডারে আবেদনের যোগ্যতা অর্জন করতে আয়ের কোনও সীমারেখাই তো টানা হয়নি। তা হলে কি অস্থায়ী অথচ মোটা বেতনের চাকরিরত, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বা আমলাদের গৃহিণীরাও আবেদনের সুযোগ পাবেন? প্রশাসনের অন্দরের ব্যাখ্যা, গোটা বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে মানুষের নৈতিকতার উপরে।

১৬ অগস্ট থেকে শুরু হবে এ বছরের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। গত বার সেই কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের (যা প্রকল্প সকলের জন্য উন্মুক্ত হয় এবং পরিবারের মহিলা প্রধানের নামে কার্ড দেওয়া হয়) সুবিধা চেয়ে বিভিন্ন শিবিরে আবেদনকারীর ঢল নেমেছিল। এ বার লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে সেই উন্মাদনা থাকবে বলে সরকারের ধারণা।

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে সাধারণ শ্রেণির গৃহবধূরা মাসে ৫০০ এবং তফসিলি জাতি এবং জনজাতিভুক্ত বধূরা ১০০০ টাকা পাবেন। ২৫-৬০ বছর বয়সিরা এই আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে স্থায়ী সরকারি চাকরিরত, পেনশনভোগী, স্বশাসিত সংস্থা, সরকার অধিগৃহীত সংস্থা, পঞ্চায়েত, পুরসভার কর্মী এবং যে-সব শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা স্থায়ী বেতন বা পেনশন পান, তাঁদের স্ত্রীরা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন না।

কিন্তু এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা ব্যবসা, অস্থায়ী চাকরি-সহ নানা পেশার সঙ্গে যুক্ত, যা সরকারের স্থির করে দেওয়া মানদণ্ডের পরিধির বাইরে। আধিকারিকদের অনেকেই জানাচ্ছেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে ওই শ্রেণিভুক্তদের স্ত্রীদের আবেদন করতে কোনও বাধা নেই। কিন্তু তাঁরা তা করবেন কি না, সেটা তাঁদের নৈতিক বিচারবিবেচনার উপরেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, “প্রকৃত অর্থে যাঁদের আর্থিক সহযোগিতা প্রয়োজন, প্রধানত তাঁদের কথা ভেবেই এই প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছে। অবস্থাপন্ন মানুষজন সেটা বিবেচনায় রাখবেন, এটা তো আশা করাই যায়। মনে করা হচ্ছে, দুয়ারে সরকারের শিবিরে গিয়ে অবস্থাপন্নদের বেশির ভাগই এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে চাইবেন না।”

তবে পর্যবেক্ষকদের অনেকে জানাচ্ছেন, রাজ্য সরকারের যা আর্থিক পরিস্থিতি, তাতে প্রকৃত অর্থে দুঃস্থদের জন্যই এই প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হলে রাজকোষের উপরে চাপ আটকান যেত। কারণ, কোনও আর্থিক মাপকাঠি না-থাকায় মাঝারি আয়ের বহু পরিবারের গৃহবধূরাও এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

West Bengal money Lakshmi Bhandar Project
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE