Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় মৃত তিন

পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিনজনের। আহত তিনজন। হুগলির দাদপুরের হোদলা মোড়ে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে রবিবার ভোরে ওই দুঘর্টনায় মারা গিয়েছেন সন্দীপ কুণ্ডু (৪৫), অ্যান্টনি সাহা (২৪) এবং নয়না খান্না (২১)। মৃত এবং আহতেরা সকলেই কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন।

সংঘর্ষের তীব্রতায় ট্রাকের নীচে ঢুকে গিয়েছে গাড়ি।

সংঘর্ষের তীব্রতায় ট্রাকের নীচে ঢুকে গিয়েছে গাড়ি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দাদপুর শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৫ ০১:৩৮
Share: Save:

পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিনজনের। আহত তিনজন। হুগলির দাদপুরের হোদলা মোড়ে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে রবিবার ভোরে ওই দুঘর্টনায় মারা গিয়েছেন সন্দীপ কুণ্ডু (৪৫), অ্যান্টনি সাহা (২৪) এবং নয়না খান্না (২১)। মৃত এবং আহতেরা সকলেই কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার বাগুইআটি নিউটাউনের বাসিন্দা চার যুবক এবং তাঁদের দুই বান্ধবী শনিবার গভীর রাতে একটি গাড়িতে করে গুড়াপের একটি হোটেলে খাওয়া দাওয়া করতে গিয়েছিলেন। খাওয়া-দাওয়া সেরে সেখান থেকে ভোরে বাড়ির দিকে রওনা হন। দুর্গাপুর এক্লপ্রেসওয়ে ধরে ফেরার পথে দাদপুরের হোদলা মোড়ের কাছে ভোর পাঁচটা নাগাদ তাঁদের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। দু’টি গাড়ির সংঘর্ষের বিকট আওয়াজে এবং যাত্রীদের আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দাদপুর থানার পুলিশও। গুরুতর আহত অবস্থায় চালক-সহ ছয় আরোহীকেই চিকিৎসার জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত। হাসপাতালেই মারা যান গাড়ির চালক সন্দীপ এবং অ্যান্টনি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বাকি চারজনের মধ্যে অরিজিৎ সাহা এবং নীরজ জয়সওয়ালকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে এবং নয়না খান্না ও জয়শ্রী খান্নাকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে মারা যান নয়না।

হাসপাতালে আহত নীরজ।

দাদপুর থানার ওসি দেবাঞ্জন দাস বলেন, ‘‘খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। গাড়িটি এত জোরে ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে যে তার সামনের অংশটি ট্রাকের নীচে ঢুকে যায়। গাড়ির ভিতর থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।’’ এ দিন হাসপাতালে শুয়ে নীরজ বলেন, ‘‘আমরা ৬ জনেই একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করি। শনিবার রাতে কাজ শেষ করতে দেরি হয়। তার পর আমরা সন্দীপের গাড়িতে করে রাত তিনটে নাগাদ দুগার্পুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে একটি হোটেলে খেতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফেরার পথেই দুর্ঘটনা ঘটে।’’ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মহেশ্বরপুরের বাসিন্দা অমিত মাঝি বলেন, ‘‘সকাল বেলায় বিকট আওয়াজ শুনে ছুটে গিয়ে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় গাড়ির মধ্যে সকলে ছটফট করছে। একটু পরে পুলিশও আসে। সকলে মিলে ওদের চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’’

—নিজস্ব চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE