Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Terrorist

Terrorism: ফের নাশকতার ছক! কলকাতায় এসটিএফের জালে জেএমবি-র তিন জঙ্গি

রবিবার সকালে জঙ্গিদের নাশকতার ছক বানচাল করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সেখানকার এসটিএফ বাহিনীও জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করে।

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২১ ১৫:২৭
Share: Save:

কলকাতায় ধরা পড়ল জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের একাধিক সদস্য। শনিবার রাতে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) অভিযান চালিয়ে ওই জঙ্গিদের গ্রেফতার করে। বর্তমানে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। আপতত জানা গিয়েছে ওই জঙ্গিরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।

রবিবার সকালে জঙ্গিদের নাশকতার ছক বানচাল করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সেখানকার এসটিএফ বাহিনীও জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করে। লখনউয়ে জঙ্গি হামলা হতে পারত বলে মনে করছে সে রাজ্যের প্রশাসন। যোগী রাজ্যের পুলিশের ওই অভিযান যখন চলছে উত্তরপ্রদেশে, ঠিক সেই সময়ই কলকাতায় ধরা পড়ল জঙ্গি সংগঠনের একাধিক সদস্য।

কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, জঙ্গি সংগঠন জেএমবি-র তিন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই বড় মাপের নেতা বলে অনুমান করা হচ্ছে। ধৃতরা সবাই বাংলাদেশ থেকে এ রাজ্যে এসেছে। তবে তারা কী কারণে এসেছিল? কোনও জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ছিল কি না, ওই সদস্যদের সঙ্গে আল কায়দা জঙ্গি গোষ্ঠীর কোনও সম্পর্ক আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

জেএমবি জঙ্গি গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে সন্ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। খাগড়াগড়-কাণ্ড যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ। এ ছাড়া মালদহ ও মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে এই সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে। যা থেকে পুলিশ আধিকারিকরা মনে করছেন, এই জঙ্গিগোষ্ঠী যথেষ্ট সক্রিয় রয়েছে। তবে বর্তমানে ধৃতরা নব্য না আদি গোষ্ঠীর সদস্য তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে এর আগে জেএমবি সংগঠনের একাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ বাহিনী। বর্তমানে ধৃতরা ওই জঙ্গি সংগঠনের বড় মাপের নেতা বলেই মনে করছে পুলিশ। সে ক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশের এটা বড়সড় সাফল্য বলাই যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Terrorist Kolkata Police STF JMB militant
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE