আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলায় কালবৈশাখীর সতর্কতা জারি করল আলিপুর। বৃহস্পতিবার বজ্র্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আবহাওয়ার মতিগতি পাল্টালেও এখনই গরম কমছে না। বৃহস্পতিবারও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই গরমের কারণে অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে। কোথাও কোথাও বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলবে তাপপ্রবাহ।
১৩ মে নির্ধারিত সময়ের পাঁচ দিন আগেই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ঢুকে পড়েছে। তা ছাড়া, অসম এবং বিহারে রয়েছে সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত। ফলে সব মিলিয়ে বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই কালবৈশাখী এবং ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়। প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে। কোথাও কোথাও হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে পৌঁছে যেতে পারে। ওই জেলাগুলির জন্য জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। আগামী রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।
তবে বৃহস্পতিবারও গরমের কারণে অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে বীরভূম, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে। একই চিত্র দেখা যাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও। বীরভূমের কোনও কোনও এলাকায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তার পর থেকে কয়েক দিনে একটু একটু করে কমবে তাপমাত্রা।
উত্তরবঙ্গে আগামী শনিবার পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টি চলবে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। বাকি দুই জেলাতেও ঝড়বৃষ্টি হবে। তবে মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে বৃষ্টির পরিমাণ তুলনামূলক কম থাকবে।
বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.৬ ডিগ্রি। বুধবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৩ ডিগ্রি, যা প্রায় স্বাভাবিক।