ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভা বাতিল হয়ে যাওয়ার পরেই মতুয়াদের আশ্বস্ত করতে ঠাকুরবাড়িতে যেতে হয়েছিল বিজেপি নেতা মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের। তার পরেও মতুয়াদের একাংশ বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রবিবার মতুয়াদের মধ্যে হাজির হয়ে তৃণমূল নেতারা তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন। মতুয়া দলপতি, গোঁসাইদের তৃণমূল নেতারা উপহার দিলেন ডঙ্কাও।
রবিবার বনগাঁ উত্তর বিধানসভা মতুয়া উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগে মতুয়া মহা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। বনগাঁ খেলাঘর মাঠে আয়োজিত ওই মতুয়া সম্মেলন মঞ্চে দেখা গেল বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রশাসক শঙ্কর আঢ্য, বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ, জেলা পরিষদের সদস্য শ্যামল রায়, বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন দত্তদের। সম্মেলন মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী এবং মতুয়াদের বড়মা বীণাপানি ঠাকুরের ছবি ছিল। শহরে তোরণ লাগানো হয়েছিল। সেখানেও ছবি ছিল মমতা আর বীণাপানির। পাশাপাশি শহরে মতুয়াদের শোভাযাত্রা বার হয়। সম্মেলনে এবং শোভাযাত্রায় মতুয়া ভক্ত দলপতি, পাগল, গোঁসাইরা অংশ নেন। মতুয়া দলপতি, গোঁসাইদের ডঙ্কা উপহার দিয়েছেন পুরপ্রশাসক ও প্রাক্তন বিধায়ক। এ দিনের মতুয়াদের উপস্থিতি তৃণমূল নেতৃত্বের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ছবির তলায় সম্মেলন করে মতুয়ারা তাঁর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। বিজেপির ভাঁওতাবাজিকে ওরা বর্জন করেছেন।’’ পুরপ্রশাসক শঙ্কর বলেন, ‘‘এটা রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়। মতুয়ারা কারও ব্যক্তিগত নয়। ব্যক্তি স্বার্থে কোনও কোনও রাজনৈতিক দল তাদের ব্যবহার করছেন। আমরা শহরে হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের আবক্ষ মূর্তি বসাব।’’ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শুভেন্দু মণ্ডল বলেন, ‘‘এ দিন ১৫ হাজার মতুয়া ভক্ত উপস্থিত ছিলেন। ১৮০টি মতুয়া দল এসেছিল। সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আস্থা জানিয়েছেন।’’
মুকুলরা আশ্বাস দিয়েছিলেন, খুব শীঘ্রই ঠাকুরবাড়িতে এসে সভা করবেন অমিত। সভা বাতিলের পরের দিন মতুয়া সম্মলনে তৃণমূল নেতাদের উপস্থিতি সম্পর্কে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘ডঙ্কা দিয়ে মতুয়াদের মন পাওয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপিকে মতুয়ারা মন দিয়ে ফেলেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy