Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Bhabanipur Bypoll

BJP: একশো পাই, দেড়শো পড়ি, দু’শো ছিঁড়ি! কমিশনের নোটিস নিয়ে মন্তব্য বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কার

বুধবারই কমিশনের চিঠি পেয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। আর কমিশনের চিঠি নিয়ে প্রিয়ঙ্কার এমন বক্তব্য অবজ্ঞায় ভরা বলে সমালোচনা করেছে তৃণমূল।

কমিশনের চিঠি নিয়ে প্রিয়ঙ্কার মন্তব্যে নতুন বিতর্ক।

কমিশনের চিঠি নিয়ে প্রিয়ঙ্কার মন্তব্যে নতুন বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:৩৮
Share: Save:

বেফাঁস মন্তব্য করে ভোটের দু’সপ্তাহ আগে নতুন বিতর্কে জড়ালেন ভাবনীপুর উপনির্বাচনের বিজেপিপ্রার্থী প্রিয়ঙ্কা তিবরেওয়াল। বৃহস্পতিবার তিনি ভবানীপুরের বিভিন্ন এলাকায়বাড়ি বাড়ি প্রচারে যান। সেই সময়েই তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের সঙ্গেই বচসা বাধে প্রিয়ঙ্কার। তর্কাতর্কির মধ্যেই ওঠে সম্প্রতি তাঁকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের চিঠি প্রসঙ্গও। তখনই প্রিয়ঙ্কা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘ওই রকম চিঠি ১০০ পাই, ১৫০টা পড়ি, ২০০ ছিঁড়ি।’’

কমিশনের চিঠি নিয়ে প্রিয়ঙ্কার বক্তব্য অবজ্ঞায় ভরা বলে সমালোচনা করেছে তৃণমূলও। ভবানীপুরের তৃণমূলপ্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে কমিশনের মতো একটি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তিনি বা তাঁর দল বিজেপি কেমন মনোভাব পোষণ করে।’’

প্রসঙ্গত, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে জমায়েত করে প্রিয়ঙ্কা কোভিডবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। করোনা পরিস্থিতিতে কমিশনের জারি করা বিজ্ঞপ্তি মানা হয়নি বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজেপিপ্রার্থীর জবাব চেয়ে নোটিস পাঠায় কমিশন। বুধবার নোটিস পাওয়ার পরে প্রিয়ঙ্কা দাবি করেন, তিনি কোভিডবিধি ভাঙেননি। বরং সেই সময়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

মনোনয়ন পেশের আগে শুরুতেই ধুনুচি নাচেন প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা। পরে শোভাযাত্রাও হয়। নাচ ও শোভাযাত্রা ঘিরে লোকসমাগম নিয়েই প্রশ্ন তোলে তৃণমূল। বুধবার প্রিয়ঙ্কা বলেছিলেন, ‘‘কমিশনের চিঠি পেয়েছি, জবাব দেব। তবে আমি কোনও নিয়ম ভাঙিনি। শুভেন্দুদা আমার গাড়িতে ছিলেন। অর্জুন সিংহ, দীনেশ ত্রিবেদীরা অন্য গাড়িতে করে সোজা কমিশনের অফিসে পৌঁছেছিলেন। আমার গাড়িতে কোনও পতাকাও ছিল না। রাস্তায় ক’টা গাড়ি থাকবে, কারা আসবে যাবে, সেটা দেখার দায়িত্ব আমার নয়। কমিশনের অফিসের বাইরে যখন ভিড় জমেছিল, তখন পুলিশ কী করছিল? জমায়েতকারীদের কেন সরিয়ে দেওয়া হয়নি?’’

বৃহস্পতিবার অবশ্য প্রিয়ঙ্কা কমিশনের চিঠি তথা কমিশনকেই অপমান করেছেন বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার পুলিশের সঙ্গেও তাঁর বচসা বাধে। প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে থাকা কলকাতা পুলিশের কর্মীদের পরনে সাধারণ পোশাক নিয়ে আপত্তি তোলেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁর দাবি ছিল, পুলিশের উর্দিতে না থাকলে মনে হবে আমি কোভিডবিধি ভেঙে অনেককে নিয়ে ঘুরছি। তা ছাড়া তিনি কলকাতা পুলিশের কাছে নিরাপত্তাও চাননি বলে জানান প্রিয়ঙ্কা। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁরা নিয়ম মেনেই দায়িত্ব পালন করছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE